গুলিস্তানে বিস্ফোরণ

দোকান মালিককে তুলে নেওয়ার অভিযোগ ডিবির বিরুদ্ধে

গুলিস্তান বিস্ফোরণ
ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির সামনে ভিড় করা জনতা। ছবি: রাশেদ সুমন/স্টার

রাজধানীর গুলিস্তানে সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের পর ধসে পড়া ভবনের একটি দোকানের মালিককে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) বিরুদ্ধে।

দোকানদার আব্দুল মোতালেব মিন্টু ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের বাংলাদেশ স্যানিটারি দোকানের স্বত্বাধিকারী বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট থেকে তাকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের।

মিন্টুর খালাতো ভাই আনোয়ার হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গতকাল রাত ৩টার দিকে বার্ন ইউনিট থেকে মিন্টুকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সে সময় আমি তার সঙ্গেই ছিলাম।'

দোকান কর্মচারীদের খুঁজতে মিন্টু ঢাকা মেডিকেলে গিয়েছিলেন বলে জানান তিনি। দোকানের দুজন কর্মচারী হাসপাতাল ভর্তি। তবে দোকানের ম্যানেজার স্বপনকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। 

আনোয়ার বলেন, ভবনের বেজমেন্টে মিন্টুর দোকানের নিচেই বিস্ফোরণ হয়েছে। তার দোকান পুরোটা ধসে গেছে।

তিনি বলেন, 'গতকাল রাতে কথা আছে বলে ডিবি মিন্টুকে ডেকে নিয়ে যায়। সকালে ডিবি অফিসে লোক পাঠালে বলা হয়, "স্যার" এলে কথা বলবেন। তারপর ছাড়া হবে।'

তার অভিযোগ, তার সঙ্গে আরও ২ জনকে ডিবি অফিসে নেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে ডিবির লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ ঘটনায় মামলা হয়নি, তাই কেউ আটক নেই।'

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাউকে নেওয়া হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা হাসপাতাল বা অন্য যে কোনো জায়গায় যে কারও সঙ্গে কথা বলতে পারি।'

তবে এ বিষয়ে আজ দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ বলেন, 'এ ঘটনায় আমরা ছায়াতদন্ত করছি যে কীভাবে ঘটনাটি ঘটেছে। সে জন্য আমরা ভবনের মালিক, দোকানদার সবার সঙ্গে কথা বলছি। আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি যে সেপটিক ট্যাংক কোথায় ছিল, সুয়ারেজ লাইন কোথায়, পানির রিজার্ভার কোথায়, গ্যাস লাইন, এসি। যেহেতু ভবনের ভেতরে যাওয়া যাচ্ছে না, তাই আমরা জিজ্ঞাসা করে জানছি।'

'১৯৯২ সালে ভবনের বেজমেন্ট ও প্রথম তলা করা হয়েছিল। অনেক বছর পর তারা সাত তলা করেছে। এটার যে গ্যারেজ, সেটা আর গ্যারেজ নেই। এটার সেপটিক ট্যাংকটি কোথায়, সেটি ভবনের মালিকও বলতে পারছেন না,' বলেন তিনি।

ডিবি প্রধান আরও বলেন, 'এখানে অনেকগুলো বিষয় আমাদের তদন্তে নিইয়ে আসছি। ভেন্টিলেশন নেই, বাতাস আসা-যাওয়া করতে পারে না, নিচতলার পুরোটা কাচ দিয়ে ঘেরা, এসি সার্ভিসিং করা হয়নি অনেকদিন ধরে। এসব ছাড়াও, এতগুলো দোকান সেখানে, সিসিটিভি ক্যামেরা আছে, সেগুলো ফাঁকি দিয়ে বিস্ফোরক আনা যায় কি না, সবই আমাদের তদন্তের মধ্যে আছে।'  

       

Comments

The Daily Star  | English

IMF sets new loan conditions

Bangladesh must clear dues, hit steep revenue, reserve targets for next tranche

7h ago