গুলিস্তানে বিস্ফোরণ: সচেতনতা বাড়াতে ঘটনাস্থলে অগ্নিনিরাপত্তা পেশাজীবীরা

গুলিস্তানে বিস্ফোরণ: সচেতনতা বাড়াতে ঘটনাস্থলে অগ্নিনিরাপত্তা  পেশাজীবীরা
ছবি: পলাশ খান

অগ্নি নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য সংবলিত ব্যানারসহ ১৫-২০ জনের একটি প্রতিনিধি দল আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গুলিস্তানে বিস্ফোরিত ভবন এলাকায় যান। যেখানে এখন পর্যন্ত অন্তত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

'সেফটি কনসার্ন'-এর ব্যানারে তারা এই উদ্যোগ নেন। তবে তারা সকলে অগ্নিনিরাপত্তা পেশাজীবী এবং রাজধানীতে ভয়াবহ এই ট্র্যাজেডির পর সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে কাজ করছেন। 

তবে, তারা কোনো সংস্থার পক্ষ থেকে সেখানে জাননি বলে জানিয়েছেন। 

জেডএম ইন্টারন্যাশনালের সিইও জাকির উদ্দিন আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, 'আমরা গত পরশু এখানে আসার পরিকল্পনা করি। আমরা চেয়েছিলাম অগ্নিনিরাপত্তা পেশাজীবী হিসেবে একত্রিত হতে। যারা বিভিন্ন ধরনের নকশা, অগ্নি নিরাপত্তা পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন বিষয়ে কাজ করি এবং এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকি। মূলত সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করতে আমরা এখানে এসেছি।'

ছবি: পলাশ খান

তিনি বলেন, 'অগ্নি নিরাপত্তায় ২টি দিক রয়েছে- ভবন নির্মাণের সময় বাংলাদেশের জাতীয় বিল্ডিং কোড মেনে চলা এবং ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্সের নির্দেশিকা অনুসারে অগ্নি নিরাপত্তা পরিকল্পনা তৈরি করা এবং নির্মাণ শুরুর আগে পরিকল্পনাগুলোর অনুমোদন নেওয়া।'

মঙ্গলবারের ভয়াবহ বিস্ফোরণস্থলে যাওয়ার আগে অগ্নি নিরাপত্তা পেশাজীবীরা প্রথমে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হন। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড টানান। 

জাকির আরও বলেন, 'আমরা চাই যতদিন ব্যানার থাকবে, মানুষকে সেটা অগ্নি নিরাপত্তার গুরুত্ব সম্পর্কে স্মরণ করিয়ে দেবে।'

ওই দলের আরেকজন সদস্য মো. আবু সৈয়দ হোসেন বলেন, 'আমরা সবাই পেশাদার প্রকৌশলী এবং বিল্ডিং সেফটি এবং ফায়ার সেফটি নিয়ে কাজ করি। সচেতনতা সৃষ্টিতে আমরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এখানে এসেছি। আমরা কোনো সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব করছি না।'

ছবি: পলাশ খান

আরেকজন অগ্নিনিরাপত্তা পেশাজীবী মাহমুদুর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, 'আমাদের প্রত্যেকে- যারা ডিজাইন তৈরি করে, অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ এবং ভবন মালিক; তারা যদি আমাদের ভূমিকা সঠিকভাবে পালন করি, তাহলে আমরা আশা করতে পারি এই ধরনের ট্র্যাজেডির পুনরাবৃত্তি হবে না।'

তিনি বলেন, 'সেফটি কনসার্ন কোন সংস্থা বা এনজিও নয়; আমরা শুধু সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করছি। আমরা বেশ কিছুদিন ধরে (আগুন ও বিস্ফোরণ) ঘটনাগুলো দেখছি... আমরা বুঝতে পেরেছি, সচেতনার অভাবই আমাদের প্রধান সমস্যা। আইন আছে, কিন্তু সমস্যা হচ্ছে সচেতনতার অভাব।'
 

Comments

The Daily Star  | English

No immediate tax relief despite inflation woes

Tax rates on income will remain the same as in fiscal 2024-25

12h ago