সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণ: কোথায় গ্যাস জমেছিল খুঁজে পাননি তদন্তকারীরা

গত ৭ মার্চ বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারে একটি সাত তলা ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ছবি: স্টার ফাইল ফটো

এক মাস পেরিয়ে গেছে, তদন্তকারীরা এখনো পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পারেনি রাজধানীর সিদ্দিক বাজার এলাকার বহুতল ভবনটির কোথায় গ্যাস জমে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছিলেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট জানিয়েছে, ভবনে গ্যাস জমে থাকায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

ভবনে গ্যাসের উৎস খুঁজে বের করতে গতকাল ডিএমপির সিটিটিসি ইউনিটের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ সময় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিটিটিসি ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় আড়াই ঘণ্টা অনুসন্ধান করে।

পরিদর্শনকালে সিটিটিসির কর্মকর্তারা তিতাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে গ্যাস সংযোগ লাইনের বিষয়ে আলোচনা করেন। পরে স্থানীয় কয়েকজন শ্রমিককে সঙ্গে নিয়ে গ্যাস সংযোগ লাইন খনন করে তদন্তকারী দল।

সিটিটিসি ইউনিটের স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের উপকমিশনার মিশুক চাকমা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে, আমরা এখন গ্যাসের উৎস খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।'

এক সময় ওই ভবনের নিচতলায় বাণিজ্যিক গ্যাস সংযোগ ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমরা মাটির নিচের গ্যাস সংযোগ খুঁড়ে দেখছি আগের সংযোগ থেকে গ্যাস জমেছিল কি না। তাহলে আরও স্পষ্ট করে বলা যাবে।'

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমরা গ্যাস সংযোগের সব লে-আউট পাওয়ার পরই তদন্ত শেষ করতে পারব। তদন্ত শেষে ভবন সম্পর্কে মতামত দেওয়া হবে।'

তিতাস গ্যাসের প্রকৌশলী মশিউর রহমান অবশ্য জানান, তিতাস গ্যাস সংযোগ লাইনে কোনো লিকেজ পাওয়া যায়নি।

তিনি বলেন, 'টয়লেটের লাইনে গ্যাস জমে থাকায় বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।'

মশিউর আরও বলেন, 'একসময় ভবনের নিচে বাণিজ্যিক গ্যাস লাইন ছিল। কিন্তু ২০০০ সালে সেটা বন্ধ করে আবাসিক গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়। ভবনের নিচতলা থেকে তৃতীয় তলা পর্যন্ত গ্যাস সংযোগ নেই।'

এর আগে গত ৭ মার্চ ঢাকার সিদ্দিক বাজারে ৭তলা ভবনে বিস্ফোরণে আহত হন শতাধিক মানুষ। বিস্ফোরণে ভবনটির বেসমেন্ট, প্রথম ও দ্বিতীয় তলা ধসে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস জানায় বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে সেখানে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

 

Comments

The Daily Star  | English

US cuts tariffs on Bangladesh to 20% after talks

The deal for Dhaka was secured just hours before a midnight deadline set by President Donald Trump

1h ago