কীর্তনখোলা নদীতে তেলবাহী ট্যাংকার বিস্ফোরণে আরও ২ জনের মৃত্যু

চট্টগ্রাম থেকে ডিজেল ও পেট্রোল নিয়ে বরিশাল পৌঁছানোর পর বিকেলে এমভি এবাদির ইঞ্জিন রুমে বিস্ফোরণ হয়। ছবি: টিটু দাস/স্টার

বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে তেলবাহী ট্যাংকার বিস্ফোরণের ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় দগ্ধ আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ জনে। 

আজ সোমবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ট্যাংকারের চিফ ড্রাইভার কুতুবউদ্দিন  ও রোববার রাতে ট্যাংকারের স্টাফ রুবেল হোসেন মারা যান।

মেঘনা পেট্রোলিয়ামের বরিশাল ডিপোর ইনচার্জ মো. কামরুল হাসান তাদের মৃত্যুর বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।

একই বিস্ফোরণে ছেলে স্বাধীনের মৃত্যুর ৪ দিন পর বাবা কুতুবউদ্দিন মারা গেলেন। নিহত  কুতুবউদ্দিনের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নে। 

ওই এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোরশেদুল আলম মৃত্যু সংবাদ নিশ্চিত করে দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, সোমবার রাত ১১টায় নিহত কুতুবউদ্দিনের গ্রামের বাড়িতে জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।

ফায়ার সার্ভিস ওই দিনই তেলবাহী ট্যাংকারের ড্রাইভার বাবুল কান্তি দাস ৬৪ ও চিফ ড্রাইভারের ছেলে স্বাধীনের (২২) মরদেহ ইঞ্জিন রুম থেকে উদ্ধার করে। পরের দিন অয়েল ট্যাংকারের গ্রিজারম্যান আবুল কাশেমের মরদেহ কীর্তনখোলা নদীতে ভেসে উঠলে ফায়ার সার্ভিস কতৃপক্ষ উদ্ধার করে।

গুরুতর আহত অবস্থায় চিফ ড্রাইভার কুতুবউদ্দিন, ড্রাইভার রুবেল হোসেন ও গ্রিজারম্যান কামাল পাশাকে প্রথমে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

বৃহস্পতিবার বিকেল পৌঁনে ৫টার দিকে বরিশাল নদীবন্দর সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীতে ওই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।

বরিশালের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমা জানান, আমার ৪টা ৪৫ মিনিটে ফোন পাওয়ার ৩ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। গিয়ে দেখি ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন। পানি দিয়ে প্রথমেই তাপ নিবারণের পরে ইঞ্জিন রুম থেকে দুটি মরদেহ উদ্ধার কছি।

এ ছাড়া আরও ১ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন অয়েল ট্যাংকারের লোকজন।

মেঘনা ডিপোর ইনচার্জ কামরুল আহসান জানান, গত পরশু ১০ লাখ লিটার ডিজেল ও সাড়ে ৩ লাখ লিটার পেট্রল নিয়ে এমটি এবাদী বরিশালে আসে। শুক্রবার মেঘনা ডিপোতে ওই তেল খালাস হওয়ার কথা ছিল। 

তবে বিস্ফোরণে ইঞ্জিন রুম ক্ষতিগ্রস্থ হলেও তেল অক্ষত রয়েছে বলে জানান তিনি।

ফায়ার ব্রিগেডের উপপরিচালক মিজানুর রহমান জানান, তাদের ৩টা ইউনিটের অন্তত ৪০ জন সদস্য বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্টি হওয়া ধোঁয়া ও তাপ আধা ঘণ্টার মধ্যে নিয়ন্ত্রণে আনে। আহত ৩ জনকে গুরুতর অবস্থায় আমরা শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি।

 

Comments

The Daily Star  | English
NID cards of Sheikh Hasina and family locked

NIDs of Hasina, 9 family members 'locked'

The NIDs of the 10 listed individuals were locked through an official letter on April 16

31m ago