নারায়ণগঞ্জে বাসায় বিস্ফোরণে দগ্ধ ২ নারীর মৃত্যু

বার্ন ইনস্টিটিউট
জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ভবন। ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে একটি বাসায় বিস্ফোরণে দগ্ধ দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় দগ্ধ আরও দুইজন বর্তমানে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।

গতকাল শুক্রবার দিনগত রাতে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

বার্ন ইনস্টিটিউটের হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শনিবার এই দুই নারীর মৃত্যু হয়।

মারা যাওয়া দুইজন হলেন—কানিজ খাদিজা নিপা (৩৯) ও চায়না আক্তার (৪০)।

বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করে বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, নিপা ও চায়না উভয়ের শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়। তাদের মধ্যে নিপা সকালে ও চায়না দুপুরে মারা যান।

দগ্ধ দুইজন হলেন—নিপার মা হাসিনা মমতাজ (৫৫) ও চায়নার স্বামী সোহান তালুকদার (৪৫)।

ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, দগ্ধ এই দুইজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তাদের মধ্যে সোহানের শরীরের ১০০ ভাগ ও হাসিনার ৫৫ ভাগ দগ্ধ হয়েছে।

নিপা ও সোহান-চায়না দম্পতি শেয়ারে ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন। সোহান স্থানীয় ফকির গার্মেন্টসে চাকরি করেন। তার স্ত্রী চায়না গৃহিণী ছিলেন। আর নিপার বাড়ি আড়াইহাজারের লক্ষীবরদীতে। তিনিও স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। নিপার মা গতকাল সন্ধ্যায় তার বাসায় বেড়াতে আসেন।

দগ্ধ সোহানের ভাগিনা ফাহিম মোল্লা জানান, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার বাজারের পাশে একটি বাড়ির চতুর্থতলায় ভাড়া থাকেন সোহান ও চায়না। রাত ১২টার দিকে তিনি খবর পান, ওই বাসায় বিস্ফোরণে আগুন লেগেছে। তখন তিনি বাসা থেকে তাদের চারজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে সকালে তাদেরকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসেন।

তবে কীভাবে এই বিস্ফোরণ হয়েছে, তা জানাতে পারেননি ফাহিম। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাসের লাইন থেকে এই বিস্ফোরণ হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

6h ago