নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস ঢুকে পড়ল দোকানে, আহত ১২

নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের এক ওষুধে দোকানের ভেতরে ঢুকে পড়েছে। এতে বাসযাত্রীসহ ১২ জন আহত হয়েছেন। 

আহতদের মধ্যে ১০ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা হলেন আবদুর রহীম (৫০), গোপাল আশ্চর্য (৫০) ও নজরুল ইসলাম (৩৫)। 

আজ বুধবার রাত পৌনে ৮টার দিকে উপজেলার বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা টু সোনাইমুড়ী সড়কের পাশে মিরওয়ারিশপুর গ্রামের পল্লী বিদ্যুৎ জেলার কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, মোটরসাইকেল ওভারটেক করতে গিয়ে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারায়।

তারা জানান, সোনাইমুড়ী থেকে চৌমুহনীগামী জননী পরিবহনের একটি বাস একটি মোটরসাইকেলকে ওভারটেক করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা দেয়। এ সময় খুঁটি ভেঙে সড়কের পাশের ওষুধের দোকান  'মুকুল ফার্মেসি'তে ঢুকে পড়ে বাসটি। এতে ওষুধের দোকানটি ও পাশের মুদি দোকান তছনছ হয়ে যায়। বাসের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে ২ দোকানদারসহ ১২ জন আহত হন।

বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অসীম কুমার জানান, আহতদের মধ্যে ৫ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। উন্নত চিকিৎসার জন্য আরও ৫ জনকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, 'চৌমুহনী ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। তবে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে হাইওয়ে পুলিশ।' 

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নোয়াখালী কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. ফরিদ আহাম্মেদ বলেন, 'দ্রুতগামী বাসটি চৌমুহনী আসার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিসিক শিল্প এলাকার উত্তর পাশে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে একটি ওষুধের দোকানে ঢুকে পড়ে। খবর পেয়ে দমকলকর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৫ জনকে গাড়ির নিচ থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।এর আগে স্থানীয় লোকজন আরও কয়েকজনকে উদ্ধার করেছে। তবে চালক ও হেলপারকে পাওয়া যায়নি।'

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

11h ago