ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গ্যাস সিলিন্ডারের আগুনে শিশুসহ দগ্ধ ৯

সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ক্যাম্পের ৮১ নং ক্লাস্টারে এই ঘটনা ঘটে।
ভাসানচর
ভাসানচর। স্টার ফাইল ফটো

নোয়াখালীর হাতিয়ায় ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সিলিন্ডারের গ্যাস ছড়িয়ে আগুন লেগে পাঁচ শিশুসহ নয় জন দগ্ধ হয়েছেন।

আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ক্যাম্পের ৮১ নং ক্লাস্টারে এই ঘটনা ঘটে।

দগ্ধরা হলেন- সফি আলমের স্তী মোবাশ্বেরা, তার মেয়ে রশ্মিতা (৩) ও ছেলে রবি আলম (৩), আজিজুল হকের ছেলে রাসেল (৩) ও  সোহেল (৫), আবদুস শুক্কুরের স্ত্রী আমিনা খাতুন (২৪) ও মেয়ে রুশা মনা বেগম (৪), আবু তৈয়বের ছেলে সফি আলম (২২) ও আবদুল হাকিমের ছেলে বশির উল্যা (২৫)।

গুরুতর আহত অবস্থায় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তাদের আনা হয়। তাদের মধ্যে পাঁচ শিশুকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. হাসিনা জাহান ও ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্থা কাউছার আলম ভূঁইয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী ভাসানচর থানার উপপুলিশ পুরিদর্শক মো. নুর হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ৮১ নং ক্লাস্টারের বারান্দায় রোহিঙ্গা সফি আলম তার গ্যাস সিলেন্ডারে গ্যাস আছে কিনা তা পরীক্ষার জন্য সিলিন্ডারের মুখ খুলে দেন। এতে চারদিকে গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় পাশের বাসায় সানজিদা নামের এক গৃহবধু গ্যাসের চুলায় রান্না করার সময় সফি আলমের  সিলিন্ডারের গ্যাস ছড়িয়ে পড়লে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. হাসিনা জাহান বলেন, দগ্ধ ৯ জনের মধ্যে পাঁচ শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের শরীরের ৫২-৬০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ বার্ন ইউনিটে রেফার করা হয়েছে। বাকি দুই নারী ও দুই পুরুষকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। তাদের অবস্থা শংকামুক্ত।

ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আর আর আর সি মাহফুজুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, রোহিঙ্গাদের পরিবারে প্রতি মাসে বিনামূল্যে সাড়ে ১২ কেজি ওজনের গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ করা হয়। অনেক পরিবারে প্রতি মাসে যে পরিমান গ্যাস দেওয়া হয় তার মধ্যে অনেক গ্যাস অব্যবহৃত থেকে যায়। রোহিঙ্গারা নতুন গ্যাস সিলিন্ডার পাওয়ার জন্য সিলিন্ডারের মুখ খুলে গ্যাস বের করে বোতল খালি করে থাকে। তাদেরকে সর্তক করে বিষয়টি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এই ধরনের কাজ না করার জন্য একাধিকবার বলা হলেও তারা একই কাজ করেছে। শনিবার সকালে রোহিঙ্গা সফি আলম তার বাসার গ্যাস সিলিন্ডারের অব্যবহৃত গ্যাস বের করার জন্য সিলিন্ডারের মুখ খুলে দিলে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয় বলে জানান তিনি।

Comments