বেইলি রোডে আগুন: ৩৮ মরদেহ শনাক্ত, হস্তান্তর ২৩

ছয়জনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।
ছবি: মো. আব্বাস/স্টার

বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৪৪টি মরদেহের মধ্যে অন্তত ৩৮ জনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। বাকি ছয়জনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।

ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মোস্তফা আবদুল্লাহ আল নূর দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৩ জনের মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ছয় অজ্ঞাত মরদেহের বিষয়ে তিনি বলেন, 'এর মধ্যে পাঁচ জনের মরদেহ এখনো কেউ দাবি করেনি। তাদের চেহারা বোঝা যাচ্ছে। তবে একটি মরদেহ পুড়ে একেবারে অঙ্গার হয়ে গেছে। সেই মরদেহটি ডিএনএ টেস্ট ছাড়া হস্তান্তর করা সম্ভব হবে না।'

তিনি আরও জানান, রাত ২টা থেকে মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৩টি মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঢামেক হাসপাতালের হেল্প ডেস্কে নিযুক্ত কর্মকর্তাদের একজন নূর বলেন, 'পরিবারের সদস্যরা মরদেহ শনাক্ত করলে তাৎক্ষণিকভাবে হস্তান্তর করা হচ্ছে। গুরুতর আহত ১০ জনকে বার্ন ইনস্টিটিউটের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।'

বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর বেইলি রোডে ছয়তলা ভবনে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের মোট ১৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করে এবং রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

রাত ২টা ২০ মিনিটের দিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান এবং ঘটনাস্থলকে 'ক্রাইম সিন' ঘোষণা দিয়ে ভবনটির সামনে হলুদ ফিতা আটকে দেন। বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য ভবনের সামনে অবস্থান নেয়।

ভবনটিতে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট ছাড়াও, স্যামসাংয়ের শোরুম, গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ার, ইলিন, খানাস ও পিৎজা ইন আছে বলে জানা গেছে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago