ফেব্রুয়ারিতে ৫০৩ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৫৫, আহত ১০৩১: যাত্রী কল্যাণ সমিতি

ফেব্রুয়ারিতে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে ঢাকা বিভাগে এবং সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে সিলেট বিভাগে।
চলন্ত অবস্থায় চাকা ফেঁটে যাওয়ায় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। ছবি: সংগৃহীত

ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে ৫০৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৫৫ জন নিহত এবং এক হাজার ৩১ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

আজ বুধবার যাত্রী কল্যাণ সমিতির দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়েছে। দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌপথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেব্রুয়ারিতে রেলপথে ৩৮টি দুর্ঘটনায় ৩৭ জন নিহত, ৬৪ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে পাঁচটি দুর্ঘটনায় সাতজন নিহত, চারজন আহত এবং একজন নিখোঁজ রয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৫৪৬টি দুর্ঘটনায় ৫৯৯ জন নিহত এবং এক হাজার ৯৯ জন আহত হয়েছেন। এই সময়ে ১৭৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২১০ জন নিহত, ১২৯ জন আহত হয়েছেন। যা মোট দুর্ঘটনার ৩৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ, নিহতের ৩৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ ও আহতের ১২ দশমিক ৫১ শতাংশ। 

ফেব্রুয়ারিতে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে ঢাকা বিভাগে, ১১৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩৫ জন নিহত ও ৩১৭ জন আহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে সিলেট বিভাগে, ২১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২২ জন নিহত ও ৫০ জন আহত হয়েছেন। 

প্রতিবেদনে জানানো হয়, সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ২৮ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১৬৩ জন চালক, ৩৪ জন পথচারী, ৪৯ জন পরিবহন শ্রমিক, ৬৯ জন শিক্ষার্থী, ছয়জন শিক্ষক, ৯৩ জন নারী, ৫৮ জন শিশু, তিনজন সাংবাদিক, একজন চিকিৎসক, একজন আইনজীবী, একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং পাঁচজন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে। এদের মধ্যে নিহত হয়েছেন তিনজন পুলিশ সদস্য, একজন আনসার সদস্য, দুইজন সাংবাদিক, একজন চিকিৎসক, একজন মুক্তিযোদ্ধা, ১২৩ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ৩৪ জন পথচারী, ৬২ জন নারী, ৪৪ জন শিশু, ৩৪ জন শিক্ষার্থী, ১৫ জন পরিবহন শ্রমিক, ছয়জন শিক্ষক ও পাঁচজন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।

এই সময়ে সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৭১০টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ২৪ দশমিক ৩৬ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১২ দশমিক ৯৫ শতাংশ বাস, ১৭ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। 

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৫৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ১৯ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৩ দশমিক ১৮ শতাংশ বিবিধ কারণে, চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে শূন্য দশমিক ৩৯ শতাংশ এবং ১ দশমিক ৩৯ ট্রেন-যানবাহনের সংঘর্ষে ঘটে।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ মাসে সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৩৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ১৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ৩৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এ ছাড়াও, সারাদেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ২ দশমিক ৭৮ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, শূন্য দশমিক ৭৯ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংগঠিত হয়েছে। 

Comments

The Daily Star  | English
pharmaceutical industry of Bangladesh

Starting from nowhere, pharma sector becomes a lifesaver

The year 1982 was a watershed in the history of the pharmaceutical industry of Bangladesh as the government stepped in to lay the foundation for its stellar growth in the subsequent decades.

18h ago