মেঘনায় ট্রলারডুবি: আরও ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার, এখনো নিখোঁজ ৩
কিশোরগঞ্জের ভৈরব ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের মাঝামাঝি এলাকায় মেঘনা নদীতে ট্রলার ডুবির ঘটনার তৃতীয় দিনে আরও তিনজনের মরদেহ ও ডুবে যাওয়া নৌযানটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ছয় জনের মরদেহ উদ্ধার হলো। নিখোঁজ আছেন আরও তিনজন।
আজ রোববার বিকেল তিনটার দিকে বিআইডব্লিউটিএ, ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে। এর আগে দুপুর ১২টার দিকে তারা ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
আজ যাদের মরদেহ পাওয়া গেছে তারা হলেন ভৈরব হাইওয়ে থানায় কনস্টেবল সোহেল রানার মেয়ে মাহমুদা সুলতানা ইভা (৭), ভৈরবের আমলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা ঝন্টু দের স্ত্রী রুপা দে (৩০) ও নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার দড়িকান্দি গ্রামের দারু মিয়ার মেয়ে কলেজ শিক্ষার্থী আনিকা আক্তার (১৮)। নদীর তীরে স্বজনরা তাদের মরদেহ শনাক্ত করেছেন।
নৌ-পুলিশের কিশোরগঞ্জ অঞ্চলের পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, নিখোঁজদের উদ্ধার ও ঘাতক বাল্কহেডটিকে আটকের চেষ্টা চলছে। ঘটনার দিন কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। প্রথম দিন একজন আহত অবস্থায় মারা যায়। গতকাল শনিবার দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আজ আরও তিনজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। নিখোঁজ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে।
বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক উবায়েদুল করিম খান জানান, ডুবে যাওয়া ট্রলারটি মেঘনার পাড়ে তোলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মেঘনা নদীতে একটি ট্রলার বিপরীত দিক থেকে আসা বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় উল্টে গিয়ে ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া ট্রলারটিতে ২০-২১ জন যাত্রী ছিলেন। ঘটনার পরদিন দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। তারা হলেন, পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী মৌসুমী বেগম (২৫) ও ভৈরবের মিষ্টি ব্যবসায়ী চন্দন দের কন্যা আরাধ্য দে (১২)।
এই ঘটনায় যারা নিখোঁজ রয়েছেন তারা হলেন পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা (৩৪) ও তার ছেলে রাইসুল (৫) এবং কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি উপজেলার মানিকখালী গ্রামের বেলন দে (৪৫)।
Comments