কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাটে কনকনে ঠান্ডায় ব্যাহত কৃষি কাজ

কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাটে কনকনে ঠান্ডায় ব্যাহত কৃষি কাজ
লালমনিরহাট সদর উপজেলার বিশবাড়ী গ্রামে ঠান্ডা উপেক্ষা করে বোরো বীজতলায় কাজ করছেন কৃষক। ছবি: এস দিলীপ রায়/স্টার

কনকনে ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশায় শরীর স্থবির হয়ে যাচ্ছে। হিমালয় নিকটবর্তী সীমান্ত জেলা কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটে ব্যাহত হচ্ছে কৃষি কাজ। কৃষক ও কৃষি শ্রমিকরা ঠান্ডার দাপটে মাঠে টিকতে পারছেন না বেশিক্ষণ। তবুও ঠান্ডার প্রকোপ সহ্য করে অনেকে বাধ্য হয়ে ফসলের খেতে কাজ করছেন।

কৃষি শ্রমিকরা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঠান্ডায় হাত-পা জমে যাচ্ছে। ঠান্ডা উপেক্ষা করে খেতে কাজে করলেও বেশিক্ষণ থাকতে পারছি না। কিছুক্ষণ কাজের পর খড়কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে শরীরে তাপ দিতে হচ্ছে।'

ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার ও গঙ্গাধর নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলে আরও বেশি ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার বিশবাড়ী গ্রামের কৃষক ধীরেন চন্দ্র বর্মণ (৬০) ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঠান্ডার কারণে খেতে কাজ করতে না পারায় কৃষিকাজ ব্যাহত হচ্ছে। কৃষিশ্রমিকরাও মাঠে কাজ করতে আগ্রহী হচ্ছেন না।'

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ী গ্রামের কৃষিশ্রমিক আলতাফ হোসেন (৫০) ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঠান্ডা উপেক্ষা করে মাঠে কাজ করছি। আগে কৃষকরা দিনমজুরি দিয়ে কাজ করাতেন। ঠান্ডার কারণে চুক্তিতে কাজ করাচ্ছেন। খুব বেশি কাজ করা যাচ্ছে না। সংসারের খরচ কষ্ট করে কাজ করছি।'

একই গ্রামের কৃষক নজির হোসেন (৬৫) ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঠান্ডার প্রকোপে খেতে যেতে পারছি না। শ্রমিকও পাওয়া যাচ্ছে না। দিনমজুরির ভিত্তিতে শ্রমিক নিয়ে পোষানো যাচ্ছে না। তাই কাজের চুক্তিতে শ্রমিক নিচ্ছি। এতে শ্রমিকরা বেশি মজুরি চাচ্ছেন।'

ঠান্ডার প্রকোপ এভাবে চলতে থাকলে ফসলের অনেক ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক হামিদুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঠান্ডার কারণে কৃষক ও শ্রমিকরা খেতে কাজ করতে না পারলে ফসলের ক্ষতি হবে। তবে অনেকে ঠান্ডা উপেক্ষা করেই কাজ করছেন।'

Comments

The Daily Star  | English
Kudos for consensus in some vital areas

Kudos for consensus in some vital areas

If our political culture is to change, the functioning of our political parties must change dramatically.

1h ago