এক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কৃষির ৪৫ সেবা

কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে, এর মাধ্যমে কৃষিকাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ২ কোটিরও বেশি মানুষ উপকৃত হবেন।
ছবি: কৃষি মন্ত্রণালয়

এখন থেকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা ১৭টি দপ্তর ও সংস্থার ৪৫টি সেবা পাওয়া যাবে একটি সমন্বিত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থেকে।

মন্ত্রণালয় বলছে, এর মাধ্যমে কৃষিকাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ২ কোটিরও বেশি মানুষ উপকৃত হবেন। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট  moa.gov.bd থেকে ইন্টিগ্রেটেড ডিজিটাল সার্ভিস http://service.moa.gov.bd/portal/home ট্যাবে ক্লিক করলেই এসব সেবা পাওয়া যাবে।

আজ বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই ডিজিটাল সেবার উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক। এসময় কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, 'এই প্ল্যাটফর্ম চালুর ফলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দপ্তর ও সংস্থাগুলোর সেবাসমূহ এক জায়গায় খুব সহজেই পাওয়া যাবে। সেবাপ্রাপ্তিতে সময় কম লাগবে ও যাতায়াত খরচ হ্রাস পাবে।'

মন্ত্রী জানান, এই পোর্টালের মাধ্যমে কৃষিসংক্রান্ত সেবগুলোকে খাত ও ধরণ অনুসারে সন্নিবেশ করা হয়েছে। কৃষক, উৎপাদক, ব্যবসায়ী,  আমদনিকারক ও  রপ্তানিকারকদের জন্য কৃষি পরামর্শ, লাইসেন্স ও নিবন্ধন, অনুদান ও ভর্তুকি, সেচ, শস্য, সার এবং  কীটনাশক বিষয়ে সব ধরনের সেবা ডিজিটালি পাওয়া যাবে। এখানে প্রতিটি সেবার বিপরীতে প্রয়োজনীয় তথ্য সন্নিবেশ করা হয়েছে। কী প্রক্রিয়ায় , কত খরচে, কার মাধ্যমে, কত সময়ে এবং কোন কোন কাগজপত্রের মাধ্যমে সেবাগুলো পাওয়া যাবে তা বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি সেবার সেবাপদ্ধতির ধাপগুলো বর্ণনা করা হয়েছে।

পরে কৃষিমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন অগ্রগতি সভায় ফলমূল-শাকসবজি অর্থাৎ হর্টিকালচারে গবেষণা বাড়াতে বিজ্ঞানীদের তাগিদ দেন। বলেন, 'অর্থকরী ফলমূল, শাকসবজি বা হর্টিকালচার গবেষণায় দেশের বিজ্ঞানীরা এখনো পিছিয়ে আছেন। এ খাতে বিজ্ঞানীদের অবদান খুব দৃশ্যমান নয়।' 

এ সময় বেসরকারি কৃষি উদ্যোক্তাদের সঙ্গে হর্টিকালচার নিয়ে মতবিনিময় করার জন্যও বিজ্ঞানীদের নির্দেশনা দেন মন্ত্রী। 

Comments