এলজিইডি প্রকৌশলীকে মারধর ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর, মামলা

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম মৃধার ওপর হামলা ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম মৃধার ওপর হামলা ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আজ সোমবার বিকেলে কুলাউড়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় ৩ জনের নাম উল্লেখসহ ৭-৮ জন আসামি করা হয়েছে।

এ ছাড়া সোমবার উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করাসহ এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুলাউড়া থানার অফিসার-ইন চার্জকে অনুরোধ করা হয়েছে।

গত রোববার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে কয়েকজন দুর্বৃত্ব আমিনুল ইসলাম মৃধার ওপর হামলা ও তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।

কুলাউড়া থানার পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম মৃধা ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর কুলাউড়া উপজেলায় যোগদান করেন। শহরের মাগুরা এলাকায় একটি বাসায় তিনি ভাড়া থাকেন। রোববার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে মোটরসাইকেলে করে ব্যক্তিগত কাজে বাসা থেকে বের হন। একপর্যায়ে কয়েকটি মোটরসাইকেলে করে আসা ৫-৭ জন যুবক তাকে পথরোধ করে হামলা চালায়। পরে তারা মোটরসাইকেলটি ভাঙচুর করে চলে যায়। রাত ১০টার দিকে ওই প্রকৌশলী ৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন। তদন্তের স্বার্থে মামলার আসামিদের নাম উল্লেখ করা সম্ভব নয়।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম মৃধাকে ফোন ধরেননি। হামলার পর থেকে তিনি কোথায় আছেন তাও জানা যায়নি।

কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুছ ছালেক জানান, প্রকৌশলীর অভিযোগ পেয়েছি। মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। কী কারণে হামলা হয়েছে, এ ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি।

কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহমুদুর রহমান খোন্দকার জানান, একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হামলার ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় নিন্দা প্রস্তাব আনা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। 

জানা গেছে, সম্প্রতি প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম মৃধার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন এবং তারা প্রকৌশলীর অপসারণের দাবি জানান। 

এ ছাড়া গত ২৪ জুলাই উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় প্রকৌশলী আমিনুলকে বক্তব্য রাখার সুযোগ দিলে কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।

Comments