আদালত অবমাননার অভিযোগ

কুষ্টিয়ার ডিসি, এসপি ও ব্র্যাক ব্যাংকের এমডিকে হাইকোর্টে তলব

বাংলাদেশ হাইকোর্ট

আদালত অবমাননার অভিযোগে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ৫ জনকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।

তাদের বিরুদ্ধে আদালতের স্থগিতাদেশ লঙ্ঘন করে ১২৩ কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি নিলামে ১৫ কোটি টাকায় বিক্রির অভিযোগ আনা হয়েছে।

হাইকোর্টের আদেশ লঙ্ঘন করার ব্যাখ্যা চেয়ে কুষ্টিয়ার ডিসি মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, মো. খায়রুল আলম ও ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি সেলিম আর এফ হোসেনসহ ৫ জনকে আগামী ২১ আগস্ট হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অপর দুজন হলেন-ব্যবসায়ী আবদুর রশিদ ও কুষ্টিয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাবিরুল আলম।

মো. শফিকুল ইসলামের ১২৩ কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি নিলামে আবদুর রশিদের কাছে ১৫ কোটি টাকায় বিক্রি করায় কেন তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে একটি রুলও জারি করেছেন আদালত।

শফিকুল ইসলাম কুষ্টিয়া সদর থানার আইলছড়া গ্রামের বিশ্বাস ট্রেডার্স, ভিআইপি রাইস মিল ও মেসার্স ভিআইপি অটো ফ্লাওয়ার মিলের স্বত্বাধিকারী।

তার করা আদালত অবমাননার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন।

আবেদনকারীর আইনজীবী রাগিব রউফ চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শফিকুল ইসলামের করা একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বেঞ্চ চলতি বছরের ২ আগস্ট তার সম্পত্তি নিলামের প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন।'

কিন্তু স্থগিতাদেশ লঙ্ঘন করে ব্র্যাক ব্যাংক কুষ্টিয়ার ডিসি, এসপি ও ওসির সহযোগিতা নিয়ে রশিদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আব্দুর রশিদের কাছে ৫ আগস্ট ওই সম্পত্তি বিক্রি করে বলে তিনি জানান।

ওই সম্পত্তি ব্র্যাক ব্যাংকের কাছে বন্ধক ছিল উল্লেখ করে এই আইনজীবী আরও জানান, ২ আগস্টের রায়ে হাইকোর্ট শফিকুলকে এক মাসের মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংককে ২০ কোটি টাকা এবং এক বছরের মধ্যে ৬ কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

SWISS Banks: Funds linked to Bangladesh hit 3-year high

Bangladeshi-linked funds parked in Swiss banks surged to 589.5 million Swiss francs, or about Tk 8,800 crore, in 2024, their highest level in three years, according to data released by the Swiss National Bank (SNB) yesterday.

8h ago