প্রধান শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ সহকারী শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

খাগড়াছড়ি সদরের মহালছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মৌসুমী ত্রিপুরাকে (৪৪) মারধরের অভিযোগ আনা হয়েছে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার (এটিও) সুপায়ন খীসার বিরুদ্ধে।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে স্কুলের দেয়াল নির্মাণের আবেদন নিয়ে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে গেলে এ ঘটনা ঘটে বলে দাবি করেছেন ওই শিক্ষক। 

এ ঘটনার পর আহত শিক্ষক মৌসুমী ত্রিপুরাকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিজেকে সুপায়ন খীসার স্ত্রী দাবি করে মৌসুমী ত্রিপুরা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সকালে বিদ্যালয়ের ভাঙা গেট মেরামতের আবেদন নিয়ে সহকারী শিক্ষা অফিসার সুপায়ন খীসার কার্যালয়ে গিয়েছিলাম। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও তিনি আমার বিষয়টি নিয়ে কথা না বলায় তার হাত ধরে দৃষ্টি আকর্ষণ করি। এ সময় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে অতর্কিতভাবে আমাকে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। পরে অফিসের অন্যরা আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।' 

তিনি আরও বলেন, 'আপনি চাইলে আমাদের বিয়ের নোটারি কাগজপত্রগুলো দেখতে পারেন, আমাদের কোর্টের মাধ্যমে বিবাহ হয়েছে। এখন স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি চাইলে গালি-গালাজ, এমনকি গলা টিপে হত্যার হুমকি দেয়।'

খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মিথিলা বড়ুয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মৌসুমী ত্রিপুরার বাম চোখের নিচে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সেখানে দুটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তার মাথায় ব্যথা আছে। আমরা তাকে ভর্তি করেছি।'

সহকারী শিক্ষা অফিসার সুপায়ন খীসা এ বিষয়ে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'তিনি (প্রধান শিক্ষক) অফিসে এসে আমার হাত-গলা ধরে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় আমি তাকে অপেশাদার আচরণ করতে নিষেধ করি। এই নিয়ে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কিতে তিনি দরজায় আঘাত পান।'

এ ছাড়া মৌসুমী ত্রিপুরা তাকে স্বামী হিসেবে দাবি করলেও সুপায়ন খীসা বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ ঘটনায় যে জড়িত থাকবে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

 

Comments

The Daily Star  | English
BNP's stance on president removal in Bangladesh

BNP for polls roadmap in 2 to 3 months

Unless the interim government issues a roadmap to the next election in two to three months, the BNP may take to the streets in March or April next year, say top leaders of the party.

7h ago