ঝুমন দাশকে ১২ ঘণ্টা আটকে রেখে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়েছে পুলিশ

ঝুমন দাশ
ঝুমন দাশ। ছবি: ফাইল ফটো/সংগৃহীত

আবারও ফেসবুকে ধর্ম অবমাননাকর পোস্ট দিয়েছেন, এমন অভিযোগে ১২ ঘণ্টার বেশি থানায় আটকে রাখার পর সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁওয়ের ঝুমন দাশ আপনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়েছে পুলিশ।

গতকাল (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নোয়াগাঁওয়ের তার বাড়ি থেকে তাকে আটকের পর সারা দিন থানায় রাখা হয়। মধ্যরাতে শাল্লা থানার উপপরিদর্শক সুমনুর রহমান বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দেন।

শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে মামলার তথ্য নিশ্চিত করে জানান, আজ বুধবার ঝুমন দাশকে আদালতে পাঠানো হবে।

ঝুমনকে আটকের পর ডেইলি স্টারকে তার স্ত্রী সুইটি দাশ বলেন, 'ঝুমন ধর্ম অবমাননাকর কোনো পোস্ট দেননি। তাকে হয়রানি করতেই আবারো পুলিশ তুলে নিয়েছে। পুলিশ তখন বলেছিল, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতেই তাকে পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে।'

গত বছরের ১৬ মার্চ হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতা মামুনুল হককে নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে সে রাতেই পুলিশ ঝুমন দাশকে আটক করে। পরদিন ১৭ মার্চ নোয়াগাঁওয়ের পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা লাঠিসোঁটা নিয়ে নোয়াগাঁওয়ে হামলা চালিয়ে অন্তত ৯০ ঘর, ৪ মন্দিরে ভাঙচুর চালায় ও লুটপাট করে।

১৬ মার্চ ঝুমন দাশকে আটকের পর ২২ মার্চ শাল্লা থানার উপপরিদর্শক মো. আব্দুল করিম বাদী হয়ে ঝুমনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় প্রায় ৬ মাস জেল খেটে ২৮ সেপ্টেম্বর শর্তসাপেক্ষে জামিনে মুক্ত হন ঝুমন।

সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশের দিরাই সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবু সুফিয়ান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সিরাজগঞ্জে একটি মন্দিরের সামনে মসজিদের দানবাক্স লাগানোর বিষয়ে কয়েকদিন আগে সে ফেসবুকে পোস্ট দেয়। পোস্টে ৬/৭ লাইনের মতো ধর্ম অবমাননাকর কথা লেখা আছে। তবে পোস্টটি সে ডিলিট করে দিয়েছে।'

 

Comments

The Daily Star  | English

JnU students vow to stay on streets until demands met

Jagannath University (JnU) students tonight declared that they would not leave the streets until their three-point demand is fulfilled

5h ago