মাদক মামলায় পরীমনিকে সশরীরে আদালতে হাজিরের আদেশ চেয়ে আবেদন

porimoni
চিত্রনায়িকা পরীমনি। ছবি: স্টার

চলচ্চিত্র অভিনেত্রী পরীমনিকে মাদক মামলায় পরবর্তী নির্ধারিত তারিখ ১৩ অক্টোবর সশরীরে হাজির হওয়ার আদেশ চেয়ে আদালতে আবেদন করেছে প্রসিকিউশন।

আজ রোববার এই আবেদন করা হয়।

একই আদালত ২ জুন পরীমনির অন্তঃসত্ত্বার কথা বিবেচনা করে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেয়।

আবেদনে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদুল হাসান বলেন, পরীমনি সম্প্রতি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এবং তার আইনজীবীর মাধ্যমে তার ব্যক্তিগত উপস্থিতি থেকে যে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল তা বাতিল করা উচিত।

প্রসিকিউশনের আবেদনের বিরোধিতা করে পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত আদালতকে বলেন, তার মক্কেল এক মাস আগে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এবং তিনি ৬ মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি পাবেন। তাই আদালতের কাছে আবেদনটি খারিজ করে দেওয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানান।

উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম আবেদনের বিষয়ে কোনো আদেশ না দিয়ে তা মামলার ফাইলে রাখেন।

এরই মধ্যে পরীমনির আইনজীবী অভিযোগকারী র‌্যাবের উপ-সহকারী পরিচালক মো. মজিবুর রহমানের জেরা সম্পন্ন করেন।

এর আগে গত ৫ জানুয়ারি ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম পরীমনি ও তার ২ সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দিপু ও কবির হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাজী গোলাম মোস্তফা গত বছরের ৪ অক্টোবর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

গত ৪ অগাস্ট রাতে ঢাকার বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। আটকের পরদিন তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদক আইনে এ মামলা দায়ের করা হয়।

র‌্যাবের জব্দ তালিকায় পরীমনির বাসা থেকে 'মদ, আইস ও এলএসডির মতো মাদকদ্রব্য' উদ্ধারের কথা বলা হয়।

পরীমনিকে গ্রেপ্তারের পর বার বার রিমান্ডে নেওয়ার বিষয়ে রুল দেন হাইকোর্ট। গত ৩১ অগাস্ট বিচারিক আদালত পরীমনিকে জামিন দেন। পরদিন তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে ছাড়া পান।

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: A day of sharing for some, a day of struggle for others

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

1h ago