নর্থ সাউথের ২ ট্রাস্টির জামিন বিষয়ে রুলের শুনানি কার্যতালিকা থেকে বাদ
৩০৪ কোটি টাকা অর্থ আত্মসাতের মামলায় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) ট্রাস্টি বোর্ডের ২ সদস্য এম এ কাশেম ও রেহানা রহমানের জামিনের বিষয়ে দেওয়া রুলের শুনানি কার্য তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আজ বুধবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের বেঞ্চ জামিনের আবেদন শুনানির তালিকা থেকে বাদ দেন।
বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথ ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল থাকাকালীন গত ২২ মে রাষ্ট্রপক্ষে তাদের জামিন আবেদনের বিরোধিতা করেন।
অভিযুক্ত আবেদনকারী কাশেম ও রেহানার পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তিনি হাইকোর্টের অন্য একটি বেঞ্চে জামিনের জন্য আবেদন করবেন।
গত ২ আগস্ট বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বে হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ এ মামলায় কাশেম ও রেহানাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রাষ্ট্র ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) দুটি রুল জারি করেন।
এ মামলায় জামিন চেয়ে বর্তমানে কারাগারে থাকা কাশেম ও রেহানার করা দুটি পৃথক আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করে।
গত ২২ মে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ একই মামলায় এনএসইউ ট্রাস্টি বোর্ডের ৪ সদস্যের করা আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে এবং মামলার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিচারিক আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেয় শাহবাগ পুলিশকে।
মামলার ৪ আসামি এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান ও মোহাম্মদ শাজাহান, যারা জামিনের জন্য ওই দিন হাইকোর্টে হাজির হন। তাদের ২৩ মে বিচারিক আদালতে হাজির করা হয়।
গত ২৩ মে নিম্ন আদালত এই মামলায় তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায়।
দুদক ৪ আসামি এবং এনএসইউ বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করে। মামলায় আশালয় হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপারসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালীকেও আসামি করা হয়।
গত ৫ মে দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী ঢাকায় তার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন।
Comments