পিবিআই প্রধানসহ ৬ পুলিশের বিরুদ্ধে বাবুল আক্তারের মামলার আবেদন

বাবুল আক্তার। ছবি: সংগৃহীত

পিবিআইয়ের প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ৬ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে মামলার আবেদন করেছেন সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার।

আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ জেবুন্নেছার আদালতে বাবুলের পক্ষে তার আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ এ আবেদনটি করেন।

আদালত আবেদনটির বিষয়ে আদেশের জন্য ১৯ সেপ্টেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেছেন বলে জানিয়েছেন দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ফখরুদ্দিন চৌধুরী।

যাদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে তারা হলেন হলেন পিবিআইয়ের প্রধান বনজ কুমার মজুমদার, পিবিআই জেলা পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান, চট্টগ্রাম মেট্রো পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা, পিবিআইয়ের তৎকালীন পরিদর্শক এ কে মহিউদ্দিন, সন্তোষ চাকমা ও এনায়েত কবির। তাদের মধ্যে মহিউদ্দিন এখন নগর পুলিশের পাহাড়তলী জোনের সহকারী কমিশনার, আর সন্তোষ চাকমা নগর পুলিশের খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসাবে কর্মরত আছেন।

মামলার আবেদনে বলা হয়, বাবুলকে পিবিআই চট্টগ্রাম কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে হাতকড়া পরিয়ে চোখ বেঁধে নির্যাতন করা হয়। স্ত্রী মাহমুদা খানমকে হত্যার করার কথা স্বীকার করতে তাকে বনজ কুমারের নির্দেশে নির্যাতন করা হয়।

বাবুল আক্তারের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গ্রেপ্তার দেখানোর আগে বাবুল আক্তারকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করার অভিযোগে হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩ এর ১৫ (১) ধারা এবং ৫ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিরা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে বাবুল এবং তার পরিবারের সদস্যরা ভীত থাকায় এবং মামলা করলে নির্যাতনের আশঙ্কায় অভিযোগ দায়ের করতে দেরি হয়েছে।'

বাবুলকে নির্যাতনের অভিযোগ বিষয়ে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা। হত্যাকাণ্ডের পর নগরীর পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন সে সময় পুলিশ সুপার পদে থাকা বাবুল আক্তার।পরে পিবিআই মামলার তদন্ত শুরু করে।

গত বছরের মে মাসে তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাবুলকে পিবিআই অফিসে ডেকে নেয়া হয় এবং এক পর্যায়ে 'কিছু প্রশ্নের জবাব দিতে ব্যর্থ হলে' পিবিআই তাকে হেফাজতে নেয়।

মিতু হত্যা মামলার তদন্ত করতে বাদি বাবুলের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়ে গত ১২ মে তার করা মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয় পিবিআই। ওইদিনই বাবুলসহ ৯ জনকে আসামি করে নতুন হত্যা মামলা করেন মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন।

এরপর এ বছরের শুরুর দিকে আবার আইনি জটিলতায় ২৫ জানুয়ারি মোশাররফ হোসেনের করা মামলায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পিবিআই। ৬ মার্চ সেই চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেন আদালত। এখন নিজের করা মামলাতেই গ্রেপ্তার আছেন বাবুল।

 

Comments

The Daily Star  | English
US attack on Iran nuclear sites

Iran denounces US attack as ‘outrageous’

Iran says 'no signs of contamination' after US attacks on key nuclear sites

9h ago