পাবনায় আ. লীগ নেতা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ৬
পাবনায় আওয়ামী লীগ নেতা সাইদার রহমানকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে ৬ আওয়ামী লীগ সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়া হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র, ছুরি ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলি মুন্সি এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-সদর উপজেলার গাফুরিয়াবাদ গ্রামের আনোয়ার আহমেদ স্বপন (৪২), পৌর সদরের চক ছাতিয়ানি মহল্লার আশিক মালিথা (২৮), একই মহল্লার আলিফ মালিথা (২২), কাশিপুর গ্রামের রিপন খান (২৭), গোপালপুর মাটি সড়ক মহল্লার নুরুজ্জামান রাকিব (২৪), একই এলাকার ইয়াসিন আরাফাত ইস্তি (২৬)।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে ঢাকা, কক্সবাজার, সিরাজগঞ্জ ও পাবনা জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।'
তাদের মধ্যে ২ জনকে ৩ দিন ও ৪ জনকে ২ দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত।
গত শুক্রবার পাবনার সদর উপজেলার চরবাঙ্গাবাঙ্গাবাড়ি গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের গুলিতে পাবনা সদর পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য সাইদার রহমান মালিথা (৪৫) নিহত হন।
পুলিশ সুপার আকবর আলি মুন্সি বলেন, 'জমি সংক্রান্ত বিরোধ ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা আলাউদ্দিন মালিথার সঙ্গে বিরোধের জেরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।'
পুলিশ সুপার বলেন, 'হেমায়েতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মালিথা চেয়ারম্যান থাকাকালে তার চাচাতো ভাই সাইদুর রহমান ওরফে সায়দার মালিথাসহ তার লোকজনদের আনুমানিক ৬০-৭০ বিঘা সম্পত্তি দখল করেন। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আলাউদ্দিন মালিথা হেরে গেলে ওই সম্পত্তি তার চাচাতো ভাই সাইদার মালিথা ও তার লোকজন নিজেদের দখলে নিয়ে চাষাবাদ করে।'
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবং এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তাদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।
এসপি জানান, সর্বশেষ গত ৮ সেপ্টেম্বর আলাউদ্দিন মালিথার ভাই সঞ্জু মালিথাকে হেমায়েতপুর মন্ডল মোড়ে সাইদার মালিথার লোকজন মারধর করে। এর জেরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে সাইদারের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় আলাউদ্দিনকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা করেন।
Comments