সাংবাদিক আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলায় হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

নোয়াখালী আদালতের কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে প্রতিবেদন প্রচার করায় সময় টিভির সাংবাদিক আফজাল হোসেনের বিরুদ্ধে করা মানহানির মামলার বিচার কার্যক্রমে ৬ মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ রোববার এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।

এই মামলার বিচার কার্যক্রম কেন বাতিল করা হবে না তা রাষ্ট্রপক্ষ ও অভিযোগকারীকে ব্যাখ্যা করতে রুল জারি করেছে আদালত।

মামলার বিচার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে আফজালের দায়ের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন এবং রুল জারি করেন।

আবেদনের শুনানির সময় আফজালের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জিআই খান পান্না, সৈয়দা নাসরিন ও মো. শাহিনুজ্জামান।

নোয়াখালী জেলা জজ আদালতের নাজির আলমগীর গত বছরের ৫ মে বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সিনিয়র রিপোর্টার আফজাল হোসেন, সিনিয়র নিউজ এডিটর মনোয়ার হোসেন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ জোবায়েরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে নোয়াখালীর আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

অপর ৩ আসামি হলেন- ঢাকার গ্রিন রোড এলাকার মো. জাহাঙ্গীর আলম, শেরপুরের বাগড়াকোসা গ্রামের মশিউর রহমান ও হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের সুবেল আহমেদ।

'আদালতের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীর অবৈধ সম্পদের পাহাড়' এই শিরোনামে ২০২১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি সময় টিভিতে একটি প্রতিবেদন প্রচার হওয়ার পর বাদী এই মামলা দায়ের করেন।

মামলার বিবৃতিতে আলমগীর দাবি করেন, প্রতিবেদনটি 'অসত্য, মিথ্যা, ভুয়া, ভিত্তিহীন, প্রতিহিংসাপরায়ণ ও মানহানিকর'।

আফজাল ছাড়া মামলার অন্য ৫ আসামিকে পুলিশ চার্জশিট থেকে অব্যাহতি দিয়েছে।

সাংবাদিক আফজালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আলমগীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির ২টি মামলার অভিযোগপত্রের ওপর ভিত্তি করে তিনি প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন।

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, দুর্নীতি দমন কমিশন আলমগীরের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে ২টি মামলা দায়ের করেছে। তিনি এই ২ মামলার অন্য ৩ আসামিকে চেনেন না এবং কেন তাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে সেই সম্পর্কে তার কোনো ধারণা নেই।

Comments

The Daily Star  | English

Please don't resign: An appeal to Prof Yunus

A captain cannot abandon ship, especially when the sea is turbulent

1h ago