বিচারপতি খিজির হায়াতকে অপসারণ

supreme court
সুপ্রিম কোর্ট ভবন। স্টার ফাইল ছবি

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খিজির হায়াতকে অপসারণ করা হয়েছে। গত বছরের ২০ অক্টোবর থেকে হাইকোর্টের যে ১২ বিচারপতিকে বিচারিক কার্যক্রমে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল তাদের একজন বিচারপতি খিজির হায়াত।

গতকাল বুধবার আইন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ১৮ মার্চ সংবিধানের ৯৬(৬) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী খিজির হায়াতকে অপসারণ করেন রাষ্ট্রপতি।

এর আগে, গত বছরের ১৬ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে 'আওয়ামী লীগপন্থী ফ্যাসিবাদী বিচারকদের' অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করেন শত শত বিক্ষোভকারী, যাদের বেশিরভাগই শিক্ষার্থী। তার ফলশ্রুতিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।

বিচারিক দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া বিচারপতিরা হলেন—বিচারপতি আতাউর রহমান খান, বিচারপতি নাইমা হায়দার, বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ, বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার, বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস, বিচারপতি খিজির হায়াত, এসএম মনিরুজ্জামান, খোন্দকার দিলীরুজ্জামান, বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামান, বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন, বিচারপতি আমিনুল ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন।

তাদের মধ্যে ইতোমধ্যে বিচারপতি আতাউর রহমান খান ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস অবসরে গেছেন। কারণ তাদের বাধ্যতামূলক অবসরের বয়স ৬৭ বছর পূর্ণ হয়েছে।

এছাড়া গত ফেব্রুয়ারিতে বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন ব্যক্তিগত সমস্যার কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন। বিচারপতি আমিনুল ইসলাম ও বিচারপতি মাসুদ হোসেন দোলন হাইকোর্টের বিচারপতি পদে নিশ্চিত না হওয়ায় চাকরিতে নেই।

সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মুয়াজ্জেম হোসেন আজ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল ১২ বিচারপতির বাকি ছয়জনের বিষয়ে তদন্ত করছেন।

গত বছরের ৫ জুন হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চের জুনিয়র বিচারক ছিলেন বিচারপতি খিজির হায়াত। বেঞ্চটি সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের জন্য বহুল আলোচিত ৩০ শতাংশ কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহাল করে। 

এই রায়ের মধ্য দিয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়, যা গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয় এবং ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে।

বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক থাকাকালীন ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায় দেন।

রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল। তবে গত বছরের ১ ডিসেম্বর হাইকোর্ট এক রায়ে সব আসামিকে মামলার অভিযোগ থেকে খালাস দেন।

Comments

The Daily Star  | English

Influenza wave grips the nation

Influenza is emerging as a main driver behind the recent surge in viral fever cases nationwide, with rising numbers of both children and adults falling ill.

11h ago