অপরাধ ও বিচার

প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর, যুবকের ১০ বছরের কারাদণ্ড

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে রাখা প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুরের অভিযোগে করা মামলায় এক যুবকের ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে রাখা প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুরের অভিযোগে করা মামলায় এক যুবকের ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক সাবিনা ইয়াসমিন অভিযুক্ত সোহাগ আলী (২৮)কে এই সাজা দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি (এপিপি) জাসমীন আহমেদ রায়ের বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, এই মামলায় একইসাথে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ের সময় আসামি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।

সাজাপ্রাপ্ত সোহাগ আলী সোনারগাঁ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাহাপুর এলাকার আলাউদ্দিন মিয়ার ছেলে।

মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর সোহাগ আলী সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি পরিষদ প্রাঙ্গণে শহীদ মিনারে ভাঙচুর করে। পরে পুলিশে দেওয়া হয় তাকে। এই ঘটনায় তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে পরিষদের কম্পিউটার অপারেটর আশরাফুল ইসলাম বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে সোনারগাঁও থানায় মামলা করেন।

মামলায় সেন্টু মিয়া (৩৫) ও শাহীন (৫৩) নামে দুইজনকে আসামি করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর করতে সোহাগ আলীকে তারা নির্দেশ দিয়েছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

এপিপি জাসমীন আহমেদ জানান, মামলায় তিন জনকে আসামি করা হলেও তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযোগপত্রে কেবল সোহাগ আলীকে আসামি করেন। বাকি দুজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এই মামলার রায়ে চার্জশিটযুক্ত একমাত্র আসামি সোহাগকে দশ বছরের সাজা প্রদান করেন আদালত।

সোহাগ আলীকে 'মানসিক ভারসাম্যহীন' দাবি করে তার চাচা মো. কালাম। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মামলার কী অবস্থা সেই বিষয়ে পরিবারের কেউই কিছু জানে না। রায় হইছে কিনা তাও জানি না। জেল হইলে তো আর কিছু করার নাই। জেল খাটবো। আমরা গরীব মানুষ, মামলা আর লড়তে পারমু না, বলেন তিনি।

Comments