রেস্টুরেন্ট ভাঙচুর-লুটপাটের অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
মানিকগঞ্জে রেস্টুরেন্ট ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে মানিকগঞ্জ সদর থানায় হাবিবুর রহমান নামে একজন রেস্টুরেন্টের পক্ষে এই মামলা করেন।
মামলায় ছাত্রলীগের সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মনিরুল হক মীম, ছাত্রলীগ কর্মী শামীম হোসেন বাবু, আতিকুর রহমান, দিহান আহমেদ তন্ময়ের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৬-৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রউফ সরকার ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওসি বলেন, 'এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।''
গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে মানিকগঞ্জ জেলাশহরের 'বেউথা টি ইফেক্ট অ্যান্ড ফিস ল্যান্ড' রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। সেসময় রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার মোহাম্মদ হাসিব হামলায় আহত হন।
ঘটনা সম্পর্কে ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, 'রাত ১০টার দিকে হঠাৎ ১০-১৫ জন যুবক রেস্টুরেন্টে হামলা করে। তাদের চাপাতির কোপে আমার ডান হাতে কব্জি কেটে গেছে। ৩টি সেলাই লেগেছে। বাম হাতেও কোপ লেগেছে। তারা দুটি ফ্রিজসহ চেয়ার, টেবিল ভেঙেছে। তিনটি ঘরের সবকিছুই কুপিয়ে ভেঙেছে। ক্যাশ বাক্স থেকে সব টাকা নিয়ে গেছে।'
স্থানীয়রা জানায়, হামলায় জড়িতদের সবাই জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এম এ সিফাত কোরেশী সুমনের অনুসারী। ওই রেস্টুরেন্টে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিদুল ইসলামের অনুসারীরা নিয়মিত আড্ডা দেয়। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দ্বন্দ্বেই এই হামলা হয়েছে বলে অনেকে ধারণা করছেন।
জানতে চাইলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এম এ সিফাত কোরেশী সুমন বলেন, 'এটা দলীয় বিষয় নয়। যদি কেউ হামলা করে থাকে এটা তাদের ব্যাপার। এ ব্যাপারে আমি কোনো মন্তব্য করবো না।'
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিদুল ইসলাম বলেন, 'একটি রেস্টুরেন্টে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট করাটা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এর সাথে ছাত্রলীগের কেউ থাকলেও এটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।'
Comments