মিতু হত্যা: সাবেক এসপি বাবুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ

চট্টগ্রামে মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলায় তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দে‌ওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছে চট্টগ্রামের একটি আদালত।
বাবুল আক্তার। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলায় তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দে‌ওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছে চট্টগ্রামের একটি আদালত।

আজ সোমবার চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আবদুল হালিম শুনানি শেষে অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করেন।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. কামরুল হাসান বলেন, 'শুনানিতে আসামি পক্ষ নারাজি এবং পুনঃতদন্তের আবেদন করলেও তা খারিজ করে দেয় আদালত।'

স্বামী বাবুল আক্তার ২০১৬ সালে যে মামলা করেছিলেন, তাতে তাকেই প্রধান আসামি করে গত ১৩ সেপ্টেম্বর আদালতে এ অভিযোগপত্র দেয় মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআই। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, এহতেশামুল হক ভোলা, শাহজাহান মিয়া, কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুছা ও খায়রুল ইসলাম ওরফে কালু। এদের মধ্যে মুছা ও কালু পলাতক আছেন।

এর আগে সন্দেহভাজন হিসেবে যাদের আসামি করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে আবু নছর গুন্নু, শাহ জামান, সাইদুল ইসলাম শিকদার, নুরুন্নবী ও রাশেদুল ইসলামের নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে অভিযোগপত্রে। তাদের মধ্যে নুরুন্নবী ও রাশেদুল ইসলাম সেই হত্যাকাণ্ডের কিছুদিন পর কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা গিয়েছিলেন।

অভিযোগপত্রে পিবিআই বলেছে, 'পরকীয়ার ঘটনা জেনে যাওয়ায়' সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার তার 'সোর্সদের দিয়ে' স্ত্রী মিতুকে 'খুন করান' বলে তাদের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। ২০ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে মোট সাক্ষী করা হয়েছে ৯৭ জনকে। তাদের ৫ জন এ মামলার বর্তমান ও সাবেক তদন্ত কর্মকর্তা।

এর আগে বাবুল আক্তারকে আদালতে হাজির করা হলে তার আইনজীবীরা আইনগত বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে 'একান্তে' কথা বলার জন্য আদালতের অনুমতি প্রার্থনা করেন। আদালত অতিরিক্ত পুলিশ উপকমিশানরের (প্রসিকিউশন) কক্ষে তাদের কথা বলার অনুমতি দেন।

বাবুলের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ সাংবাদিকদের বলেন, 'বাবুল আকতারের কাছে আমরা জানতে চেয়েছি আসলে কী ঘটেছিল? ঘটনার দিন তিনি চট্টগ্রামে ছিলেন না। উনার বক্তব্য হচ্ছে, মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যার ঘটনায় উনি জড়িত নন। উনার সঙ্গে কথা বলে আমরাও সন্তুষ্ট যে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে উনার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণযোগ্য নয়।'

 

Comments

The Daily Star  | English
  July massacre victims

Dubious cases are an injustice to July massacre victims

Legal experts opined that there should be a judicial investigation into these cases.

8h ago