শিক্ষার্থী ধর্ষণ-হত্যা: আনভীরসহ ৮ জনকে দায়মুক্তি দিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন

রাজধানীর গুলশানে কলেজ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরসহ ৮ জনকে দায়মুক্তি দিয়ে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
সায়েম সোবহান আনভীর। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর গুলশানে কলেজ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরসহ ৮ জনকে দায়মুক্তি দিয়ে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

আজ বুধবার সকালে আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার একজন সহকারী উপপরিদর্শক দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গত ১২ অক্টোবর মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা গোলাম মুক্তার আশরাফ উদ্দিন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।

তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, শিক্ষার্থী ধর্ষণ ও হত্যায় আনভীর ও অন্যান্যদের সংশ্লিষ্টতা পাননি তদন্তকারী কর্মকর্তা।

'আমি বিস্তারিত তদন্ত করে দেখেছি, আত্মহত্যার সময় আনভীর সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। শারীরিক সম্পর্কের প্রমাণ পাওয়া গেছে কিন্তু জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যে কারণে আমি "তথ্যগত ভুল" উল্লেখ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি,' তদন্ত প্রতিবেদনে বলেন পিবিআই কর্মকর্তা।

মামলাটির বাদী নুসরাত জাহান ডেইলি স্টারকে জানান, চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। এমনকি মামলা দায়ের করার পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেননি এবং আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আগে তাকে জানাননি।

'তদন্ত প্রতিবেদনটি পড়ে আমি আদালতে নারাজি আবেদন করবো,' বলেন তিনি।

তাৎক্ষণিকভাবে তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।

তদন্তকারী কর্মকর্তা আনভীরসহ বাকি আসামিদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।

গুলশানের বাসা থেকে মরদেহ উদ্ধারের পর গত বছরের ২৬ এপ্রিল ২১ বছর বয়সী কলেজছাত্রীর বড় বোন বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করেন। এজাহারে আনভীরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা আবুল হাসান ১৯ জুলাই ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন। ১৮ আগস্ট আদালত চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেন এবং আনভীরকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।

এরপর ৬ সেপ্টেম্বর কলেজছাত্রীর বড় বোন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এ ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ এনে আবারও মামলা করেন। মামলায় আনভীর এবং আরও ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।

তারা হলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ওরফে শাহ আলম, তার স্ত্রী আফরোজা বেগম, আনভীরের স্ত্রী সাবরিনা সায়েম, মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াশা, সাইফা রহমান মীম, ইব্রাহিম আহমেদ রিপন ও তার স্ত্রী শারমীন।

Comments