রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া সেই অ্যাম্বুলেন্স চালক কারাগারে
নাটোরের লালপুরে রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার অভিযোগে অ্যাম্বুলেন্স চালক আমজাদ হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার নাটোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোসলেম উদ্দিন এ আদেশ দেন।
আদালতের স্টেনোগ্রাফার খন্দকার মো. আতাউল গণি ওসমানী দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার অভিযোগে ওই অ্যাম্বুলেন্স চালকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন নাটোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সাঈদ।
আতাউল গণি ওসমানী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অ্যাম্বুলেন্স চালক আমজাদ হোসেন বুধবার লালপুর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং মামলাটি বিচারের জন্য চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্থানান্তর করেন।'
গত ৪ অক্টোবর রাত সাড়ে ৭টার দিকে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে চিকিৎসকের পরিবর্তে চিকিৎসা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে অ্যাম্বুলেন্স চালক আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ছবিতে দেখা যায়, ওই হাসপাতালের রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স চালক আমজাদ হোসেন রোগীর রক্তচাপ পরীক্ষা করেন।
গণমাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে বিষয়টি আদালতের নজরে আসে। পরে আদালত বিষয়টিকে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ২২ এবং ২৮ ধারায় ফৌজদারি অপরাধ বলে উল্লেখ করে আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
আসামি আমজাদ আজ আদালতে তার অপরাধ স্বীকার করেছেন বলে আদালতের স্টেনোগ্রাফার আতাউল গণি ওসমানী জানান।
Comments