ঘরের মেঝে খুঁড়ে পাওয়া গেল ২ বছর আগে নিখোঁজ ব্যক্তির দেহাবশেষ

মাদক মামলায় গ্রেপ্তার মো. আলম মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুই বছর আগে হত্যা করে পুঁতে ফেলা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরে একটি বাড়ির মেঝে খুঁড়ে দুই বছর আগে নিখোঁজ হওয়া এক ব্যক্তির দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মাদকের টাকা ভাগাভাগির বিরোধ নিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছিল।

নিহত মিনারুল (৪১) জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ থানার পলাশতলা গ্রামের নূরু বক্তার ছেলে। ময়নাতদন্তের জন্য তার দেহাবশেষ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) সহকারী উপ কমিশনার (এডিসি উত্তর) মো. রেজোয়ান আহমেদ জানান, একটি মাদক মামলার তদন্ত করতে গিয়ে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি জানা যায়। আজ সোমবার বিকেলে নন্দন কড্ডা এলাকায় একটি আধাপাকা ঘরের মেঝে খনন করে মরদেহটি পাওয়া যায়।

তিনি জানান, গত শনিবার কড্ডা খেয়াপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার চর ভুরুঙ্গামারী গ্রামের মো. আলম মিয়াকে (২৫) ২ হাজার ৭০০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, ২০২০ সনের ৩০ ডিসেম্বর রাতে গাজীপুরের নন্দন কড্ডা এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে মাদক ব্যবসার টাকা ভাগাভাগি করা হয়। সেখানে মিনারুলের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। তাকে তার বড়ভাইয়ের হত্যা মামলা তুলে নিতে বলা হয়। এক পর্যায়ে লোহার রড দিয়ে আঘাত করলে মিনারুল সেখানেই মারা যায়। পরে তার মরদেহ বাড়িটির পাশের জমিতে পুঁতে ফেলা হয়।

এডিসি জানান, নিহত মিনারুলের স্ত্রী মৌসুমী আক্তার ২০২১ সালের ১ জানুয়ারী কোনাবাড়ী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। মিনারুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অন্তত ৭টি মাদক মামলা আছে।

Comments

The Daily Star  | English

Govt issues ordinance amending Anti-Terrorism Act

Activities of certain entities, and activities supporting them can now be banned

39m ago