আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফেরা ‘দা বাহিনীর’ প্রধানকে কুপিয়ে হত্যা

মো. নাছির উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের পেকুয়ায় মো. নাছির উদ্দিন (৪৮) নামে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল রোববার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

পেকুয়ায় আলোচিত 'দা বাহিনীর' প্রধান ছিলেন নাছির। ২০২০ সালে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পন করেছিলেন। এরপর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন শুরু করেন।

পেকুয়া উপজেলার টৈটং ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবুল কালাম দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, রোববার রাত ১১টার দিকে টৈটং বাজার থেকে বাড়িতে ফেরার পথে ৫-৬ জন দুর্বৃত্ত তার ওপর হামলা করে। তাদের দায়ের কোপে আহত হন নাছির। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত ১টার দিকে মারা যান নাছির।

নাছির টৈটং ইউনিয়নের পণ্ডিত পাড়ার আবুল হোছাইনের ছেলে। 

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আবুল কালাম দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, নাছির উদ্দিন পেকুয়ার টৈটংয়ে বহুল আলোচিত সন্ত্রাসী 'দা বাহিনী'র প্রধান ছিলেন। এ বাহিনী পাহাড়ী বনভূমির জমি দখল, চাঁদাবাজি, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল। পরে অস্ত্র জমা দিয়ে জেল খেটে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণে সহযোগিতাকারী সাংবাদিক আকরাম হোসাইন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, '২০২০ সালের ১২ নভেম্বর বাঁশখালীতে স্বারাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে ৩৪ জন অপরাধী আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। তাদের মধ্যে কথিত দা বাহিনীর প্রধান নাছিরও ছিলেন। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় কারাভোগ শেষে মুক্তি পাওয়ার পর এলাকায় একটি ছোট মুদির দোকান করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন।'

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরহাদ আলী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঘটনার পরপরই পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালায়। কিন্তু দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। প্রাথমিকভাবে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে বলে জানা গেছে। মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে।'

তবে এ বিষয়ে নাছিরের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি।

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: A day of sharing for some, a day of struggle for others

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

1h ago