ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাগারে বিএনপি নেতা সুলতানা
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ও সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সুলতানা আহম্মেদকে কারাগারে পাঠিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেন এ আদেশ দেন।
সুলতানার বিরুদ্ধে গত ৬ নভেম্বর পল্টন মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২১, ২৫, ২৯, ৩১ ও ৩৫ ধারায় মামলা হয়।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে 'হেয় প্রতিপন্ন' করতে 'বিদ্বেষ ও উস্কানিমূলক বক্তব্য' দিয়েছেন এবং 'বিচার বিভাগকে হেয়' করে বক্তব্য দিয়েছেন। গত ১ নভেম্বর বিএনপির কর্মসূচিতে তিনি এমন বক্তব্য দিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে মামলার এজাহারে।
আজ দুই দিনের রিমান্ড শেষে পল্টন থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম সুলতানাকে আদালতে হাজির করেন।
প্রতিবেদনে আইও বলেন, সুলতানা ঘটনা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তাই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে আটক রাখা দরকার।
তবে, সুলতানার পক্ষে তার সামাজিক অবস্থান বিবেচনা করে কারা হেফাজতে প্রথম শ্রেণীর ডিভিশন চেয়ে আবেদন জমা দেওয়া হয়।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট তাকে কেরানীগঞ্জ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জেল কোড অনুমতি দিলে ম্যাজিস্ট্রেট তাকে প্রথম শ্রেণীর ডিভিশন দেওয়ার নির্দেশ দেন।
গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবদুল হামিদ বাদী হয়ে সুলতানা ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে গত গুলশানের বাসা থেকে র্যাব তাকে গ্রেপ্তার করে।
Comments