ফারদিন হত্যা: মরদেহ উদ্ধারের দুই দিনেও মামলা হয়নি

ফারদিন নূর পরশ। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পলাশের মরদেহ উদ্ধারের দুই দিনেও মামলা হয়নি।

পরিবারের সদস্যরা বলছেন, মামলা কোন থানায় করবেন সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন তারা। এদিকে পুলিশ বলছে, পরিবারের কেউ এজাহার দিলেই মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হবে।

গত শুক্রবার বিকেলে বুয়েটের ক্যাম্পাসের দিকে যাওয়ার কথা বলে ডেমরার বাসা থেকে বের হন ফারদিন নূর পরশ। ২৪ বছর বয়সী এই তরুণ বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং ক্লাবেরও যুগ্ম সম্পাদক।

পরিবারের সদস্যরা জানান, শনিবার একটি পরীক্ষা দিয়ে দুপুরে বাসায় ফেরার কথা ছিল তার। তবে শুক্রবার সাড়ে এগারোটার পর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। তার সর্বশেষ অবস্থান পাওয়া যায় রামপুরা থানায়। শনিবার নিখোঁজের ডায়েরি হয় রামপুরা থানাতে। দুই দিন পর সোমবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসমান অবস্থায় মেলে তার মরদেহ।

গতকাল মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শেখ ফরহাদ সাংবাদিকদের জানান, ফারদিনের মাথা ও বুকে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ওই তরুণ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।

পুলিশ বলছে, এই ঘটনায় রামপুরা ও সিদ্ধিরগঞ্জ উভয় থানাতেই হত্যা মামলা করার সুযোগ রয়েছে। বাদীপক্ষ যে কোনো থানাতেই মামলা করতে পারেন।

তবে বেলা সাড়ে ১২টায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, নিহতের মরদেহ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে চাইলে এই থানায় মামলা করতে পারেন। আবার তারা যেহেতু ছেলের সর্বশেষ অবস্থান রামপুরা থানা এলাকায় পেয়েছিলেন, সেখানে জিডিও করেছেন, সেখানেও মামলা করতে পারেন। তবে এখন পর্যন্ত কেউ থানায় এসে এজাহার দেননি। এজাহার দিলেই মামলা নেওয়া হবে।'

রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী রফিকুল ইসলামও একই কথা বলেন।

জানতে চাইলে ফারদিনের বাবা নূরউদ্দিন বলেন, 'মামলা নিয়ে পারিবারিকভাবে আলোচনা চলছে। যে থানায় মামলা করলে তদন্তে সুবিধা হবে সেই থানাতেই মামলা করব। ছেলেকে তো আর ফিরে পাবো না, আসামিদের শাস্তিই একমাত্র চাওয়া।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Govt to expedite hiring of 40,000 for public sector

The government has decided to expedite the recruitment of 6,000 doctors, 30,000 assistant primary teachers, and 3,500 nurses to urgently address the rising number of vacancies in key public sector positions.

8h ago