ছাত্রলীগের মামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের আরও ১৫ নেতা-কর্মীর জামিন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গত ৭ অক্টোবর হামলার অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতার দায়ের করা মামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের আরও ১৫ নেতা-কর্মী জামিন পেয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য এলাকায় আবরার ফাহাদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে হামলা করে ছাত্রলীগ। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গত ৭ অক্টোবর হামলার অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতার দায়ের করা মামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের আরও ১৫ নেতা-কর্মী জামিন পেয়েছেন।

আজ জামিন পেয়েছেন আরিফুল ইসলাম, তসলিম হোসেন অভি, তৌহিদুল ইসলাম তুহিন, মামুনুর রশিদ, নাজমুল হাসান, এইচএম রুবেল হোসেন, ইউসুফ হোসেন, মিজান উদ্দিন, ওমর ফারুক জিহাদ, মোঃ আবু কাওসার, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন রনি, শাহ ওয়ালীউল্লাহ, মো. রাকিব, সাজ্জাদ হোসেন পারভেজ ও মো. আসিফ মাহমুদ।

তবে একই অভিযোগে এক ছাত্রলীগ কর্মীর দায়ের করা আরেকটি মামলার জামিন শুনানি আগামী ২০ নভেম্বর হবে। সেই মামলায় জামিন না পেলে তারা কারাগার থেকে বের হতে পারবেন না।

গত ২০ অক্টোবর নিম্ন আদালতে জামিন আবেদন খারিজ হওয়ার পর তাদের আইনজীবীদের আবেদন পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক বিলকিস আক্তার জামিন মঞ্জুর করেন।

এর আগে ৮ নভেম্বর উভয় মামলায় জামিন পান সংগঠনটির সভাপতি আক্তার হোসেনসহ ৮ জন। জামিনের আদেশের পর তারা কারাগার থেকে বের হন।

আজকের শুনানির সময় আসামিপক্ষ আদালতকে জানায় যে ৭ অক্টোবর বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালনের সময় তাদের মক্কেলদেরকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মারধর করেছে। আহত শিক্ষার্থীদেরই ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে মামলা করার কথা ছিল, কিন্তু উল্টো ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদেরই আটক করা হয়েছে।

ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন ও কর্মী আমিনুর রহমান বাদী হয়ে ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ১৪০-১৫০ জনকে আসামি করে শাহবাগ থানায় হত্যাচেষ্টার ২টি মামলা করেছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে প্রবেশ করে বাদী ও তার বন্ধুদের লাঠি, হকিস্টিক, লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। সঙ্গে নগদ টাকা ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রও নিয়ে যায় তারা।

৭ অক্টোবর হামলার দিন ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও আশপাশের এলাকা থেকে ২৪ জনকে আটক করে পুলিশ।

তাদের মধ্যে ছাত্র অধিকার পরিষদের আহত বেশ কয়েকজন কর্মী রয়েছেন, যারা ছাত্রলীগের হামলায় আহত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

Comments