শিশু অপহরণের পর বিক্রি, ২ মাস পর উদ্ধার

২ মাস আগে চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানাধীন কলসিদিঘীর পাড় থেকে অপহরণ হয় ৩ বছর বয়সী একটি শিশু। পুলিশ জানিয়েছে, পরে শিশুটিকে ৩০ হাজার টাকায় ফেনীর এক পরিবারের কাছে বিক্রি করার কথা স্বীকার করেছে অপহরণকারী।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

২ মাস আগে চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানাধীন কলসিদিঘীর পাড় থেকে অপহরণ হয় ৩ বছর বয়সী একটি শিশু। পুলিশ জানিয়েছে, পরে শিশুটিকে ৩০ হাজার টাকায় ফেনীর এক পরিবারের কাছে বিক্রি করার কথা স্বীকার করেছে অপহরণকারী।

আজ বুধবার সকালে অপহরণের ৬০ দিন পর ওই শিশুকে ফেনী থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, অপহরণের পর টাকার জন্য শিশুটিকে বিক্রি করা হয়। এই ঘটনায় মো. জয়নাল আবেদীন ওরফে সুমনকে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সুমনের বাড়ি ফেনী জেলায়।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের বন্দর জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) শাকিলা সোলতানা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'কৌশলে সুমন শিশুটিকে অপহরণ করে ফেনীতে তার বাড়ির কাছে এক দম্পতির কাছে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়।'

'অপহরণের পর শিশুটিকে উদ্ধারে প্রচারণার জন্য মিডিয়া কর্মীদের সহায়তা চায় বন্দর থানা পুলিশ। ট্রেন স্টেশন, বাস স্টপেজ ও সম্ভাব্য সব স্থানের সিসি টিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে কয়েক দফা কুমিল্লা জেলার লাকসাম, চৌদ্দগ্রাম ও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েও শিশুটির খোঁজ মেলেনি। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন সোর্সের মাধ্যমে সুমনের অবস্থান আমরা পাই মিরসরাইয়ে। সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করার পর ফেনীতে শিশুটির অবস্থান শনাক্ত করা হয়,' বলেন ডিসি।

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান বলেন '২২ সেপ্টেম্বর জেমির নানী কুমিল্লার লাকসাম থেকে ট্রেনে করে চট্টগ্রামের কলসিদীঘিতে মেয়ের বাসায় আসেন। ট্রেনে শিশুটির কান্না সুযোগে তাকে কোলে নিয়ে তার নানীর সঙ্গে আন্তরিকতা বাড়ায় সুমন। এরপর নানীর সঙ্গে সুমন ফ্রি-পোর্ট এলাকায় নামে। তখনো শিশুটি অপহরণকারীর কোলে ছিল। তারা বাস থেকে নেমে রাস্তা পার হয়ে কলসিদিঘী রোডে প্রবেশ করে। শিশু জেমির নানী সামনে হাঁটতে থাকলে সুমন পিছন দিয়ে কোলে থাকা শিশুকে নিয়ে দৌড় দেয়।'

'সুমন ফেনীতে শিশুটিকে বিক্রির পর মিরসরাইয়ে ইলেক্ট্রিশিয়ানের কাজ নেয়,' বলেন ওসি।

আদালতের মাধ্যমে শিশুটিকে তার মায়ের কাছে ফেরত পাঠানো হচ্ছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

Comments