
পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১৬১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাতে লক্ষীপুর মডেল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মো. আনিছুজ্জামান এ মামলা করেন।
আজ শনিবার বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন।
মামলায় জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিমকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল্লাহ আল মামুনকেও। ১৬১ জন আসামির মধ্যে ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বাকি ১৫০ জন অজ্ঞাত পরিচয়ের আসামি।
লক্ষীপর সদর মডেল থানার ওসি মো. মোসলেহ উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা লক্ষীপুর পৌরসভার চকবাজার জামে মসজিদ হয়ে পুরাতন আদালত ভবনের সামনে জড়ো হন। সেখানে যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন তারা। এ সময় তাদেরকে সড়কের ওপর থেকে সরে গিয়ে অন্য জায়গায় কর্মসূচি পালন করার অনুরোধ করা হয়।
এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ইট, পাটকেল ও লাঠি নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালান। হামলায় ৩ পুলিশ সদস্য আহত হন। আহতদের মধ্যে একজন ওসি নিজে। বাকি ২ জন হলেন পুলিশ সদস্য মো. সফিক উল্যা ও সিজান আহমেদ। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল্লাহ আল মামুন শনিবার সন্ধ্যায় দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের ওপর হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা ছাত্রদল শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিল বের করে। মিছিলটি বাজারের ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছলে পুলিশ বাধা দেয় এবং ব্যানার নিয়ে টানাটানি করে। পুলিশ ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর এলোপাতাড়ি লাঠিচার্জ করে এবং কিল-ঘুষি দেয়। এ সময় নেতাকর্মীরা তা প্রতিহত করলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় দলের ১২ জন নেতাকর্মী আহত হন।'
জেলা ছাত্রদল সভাপতি হাসান মাহমুদ ইব্রাহিম বলেন, 'পুলিশ আমাদের ওপর বিনা কারণে হামলা করে আবার আমাদের বিরুদ্ধেই মামলা করেছে। মামলা দায়েরের পর থেকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা গ্রেপ্তার এড়াতে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন।'
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, 'পুলিশের হামলায় ছাত্রদল ১২ জন নেতাকর্মী আহত হওয়ার যে দাবি করেছে তা সঠিক নয়।'
Comments