লক্ষ্মীপুর

আ. লীগ-বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ মামলা

বিএনপির দাবি শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ ও সরকার দলীয় লোকজন অতর্কিত হামলা চালায়। ছবি: সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুরে এক দফা দাবিতে পদযাত্রা ও বিক্ষোভ মিছিল কেন্দ্র করে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, গুলি ও কৃষকদলের এক কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় ৪টি মামলা হয়েছে।  

এর মধ্যে পুলিশ ২টি মামলার বাদী। এ ছাড়া, নিহত সজীব হোসেনের (২৫) বড় ভাই সুজন হোসেন ১টি এবং একজন আইনজীবী আরেকটি মামলা করেন।

বুধবার সন্ধ্যা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত এসব মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। 

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. মোসলেহ উদ্দিন রাত ১০ টার দিকে দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওসি জানান, নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা হয়েছে। মামলার বাদী লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক আনিসুজ্জামান।

পুলিশ আরেকটি মামলা করেছে পুলিশের ওপর হামলা ও  পুলিশকে আহত করার অভিযোগে। মামলার বাদী একই থানার উপ- পুলিশ পরিদর্শক মোজাম্মেল হক।

তৃতীয় মামলার বাদী নিহত সজিবের বড় ভাই সুজন।এ মামলায় অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিদের আসামি করা হলেও সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি।

চতুর্থ মামলার বাদী আইনজীবী নুরুল আমিন রাজু। বসত বাড়িতে ও ব্যক্তিগত গাড়িতে  হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় এ মামলা করেন তিনি।

ওসি জানান, ৪টি মামলায় মোট আসামি ৩ হাজার ৮০৫ জন। তাদের মধ্যে ৫৫ জন এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাত পরিচয়ের আসামি ৩ হাজার ৭৫০ জন। বুধবার রাত ১১টা পর্যন্ত এসব মামলার কোন আসামি গ্রেপ্তার হননি।

পুলিশের করা ২টি মামলাতেই জেলা বিএনপির আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এনিকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যার পর বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা নথিভুক্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে নেতাকর্মীদের মাঝে গ্রেপ্তার আতঙ্ক দেখা দেয়। গ্রেপ্তার এড়াতে নেতাকর্মীরা এলাকা ছেড়ে যান এবং তাদের মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে।

মামলা নিয়ে কথা বলার জন্য লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শাহাব উদ্দীন সাবুর মোবাইলে কল করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

জেলা বিএনপির আহবায়ক সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এনির ফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।

লক্ষ্মীপুরে মঙ্গলবার বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এ সময়  নিহত হন কৃষকদলের কর্মী সজিব হোসেন।

পুলিশ বলছে, এ হত্যাকাণ্ড অরাজনৈতিক। পুলিশ বা কারও গুলিতে নয়, ধারালো অস্ত্র বা ছুরির আঘাতে সজিবের মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে বিএনপির নেতারা ও স্বজনরা বলছেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সজিবকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। 

 

 

Comments

The Daily Star  | English

Abdul Hamid returns home after treatment in Thailand

Two police officials were withdrawn and two others suspended for negligence in duty regarding the former president's departure from the country

3h ago