বিএনপির সোহেলসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা অগ্নিসংযোগের একটি মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলসহ সংগঠনটির ১৩ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ঢাকার একটি আদালত।

রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা অগ্নিসংযোগের একটি মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলসহ সংগঠনটির ১৩ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ঢাকার একটি আদালত।

আজ বুধবার মামলার শুনানিতে অনুপস্থিত থাকায় ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরীর আদালত তাদের জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারের আদেশ দেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবিতে ঢাকা মহানগর অবরোধ কর্মসূচি ছিল। ওইদিন হেফাজত ইসলাম, জামায়াত শিবির ও বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বেআইনিভাবে জনতাবদ্ধ হয়ে ইটপাটকেল, বাশের লাটি, লোহার রড, হকি স্টিক নিয়ে রাস্তায় যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। পুলিশের ওপর হামলা করে। হত্যার উদ্দেশ্যে ককটেল ও হাতবোমা নিক্ষেপ করে। এতে অনেক পুলিশ সদস্যসহ অন্যরা আহত হন। এ ঘটনায় তৎকালীন পল্টন থানার উপপরিদর্শক সঞ্জয় কুমার দাস বাদী হয়ে মামলা করেন।

অগ্নিসংযোগের মামলায় আজ বুধবার শুনানির সময় উপস্থিত না থাকায় বিএনপির ১৩ নেতা-কর্মীর জামিন বাতিল করে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের মক্কেলদের অনুপস্থিতির বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে সময় চেয়ে আবেদন করলে আদালত তা খারিজ করে দেন।

তবে স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর শরাফত আলী সাপুসহ জামিনে থাকা ২৬ জন আজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজত নেতাদের উসকানি ও রাজধানীতে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে এ মামলায় সোহেলকে আসামি করা হয়েছে।

২০১৩ সালের মে থেকে গত ৯ বছরে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ১৬০টিরও বেশি মামলা দায়ের হয়েছে।

২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজতের সংঘর্ষের পর ৩ হাজার ৪১৬ জনের নাম ও ৮৪ হাজার ৭৯৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ঢাকাসহ ৭ জেলায় ৮৩টি মামলা দায়ের করা হয়।

 

 

Comments