ই-কমার্সে ‘প্রতারিত’ গ্রাহকের অর্থ ফেরতে নিষ্ক্রিয়তায় হাইকোর্টের প্রশ্ন

‘দালাল প্লাস’ ও ‘ই-অরেঞ্জ’ নামের ২টি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে গ্রাহকের জমা দেওয়া ১৩ কোটি টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের নিস্ক্রিয়তার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট।
দেশটাকে তো জাহান্নাম বানিয়ে ফেলেছেন
স্টার ফাইল ফটো

'দালাল প্লাস' ও 'ই-অরেঞ্জ' নামের ২টি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে গ্রাহকের জমা দেওয়া ১৩ কোটি টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের নিস্ক্রিয়তার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে অর্থ ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে এই প্ল্যাটফর্মগুলোর নিস্ক্রিয়তা ও অর্থ ফেরত চেয়ে করা গ্রাহকের আবেদনগুলো নিষ্পত্তি না করার বিষয়টি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান এবং দালাল প্লাস ও ই-অরেঞ্জের কর্মকর্তাদের আগামী ৪ সপ্তাহের ভেতর এর ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য ২টি পৃথক রুলও জারি করা হয়েছে।

এর পাশাপাশি হাইকোর্ট বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবকে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলোতে জমা দেওয়া অর্থ ফেরত চেয়ে করা গ্রাহকের আবেদনগুলো আগামী ৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন।

আজ বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের বেঞ্চ মোট ৪২ জন গ্রাহকের পক্ষে করা ২টি পৃথক রিট আবেদনের ওপর শুনানি করে এই রুল জারি করেন ও নির্দেশ দেন।

আবেদনকারীদের আইনজীবী আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম আলী পাঠান এ ব্যাপারে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এই ৪২ জন গ্রাহক কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে পণ্য ক্রয়ের জন্য গত বছরের (২০২১ সাল) বিভিন্ন সময়ে দালাল প্লাস-এ ৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা এবং ই-অরেঞ্জ-এ ৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা জমা দেন। কিন্তু ই-কমার্স কোম্পানিগুলো তাদের পণ্য কিংবা অর্থ কোনোটিই দেয়নি।'

এ আইনজীবী জানান, গ্রাহকরা অর্থ ফেরত পাওয়ার বিষয়ে পদক্ষেপ চেয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পৃথক আবেদন করেছেন, কিন্তু মন্ত্রণালয় সে আবেদন নিষ্পত্তি করেনি।

রিট আবেদনের শুনানিকালে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

 

Comments