ট্রেনে কাটা পড়ে ২ সন্তানসহ মা নিহতের ঘটনায় মামলা, স্বামী গ্রেপ্তার

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

লালমনিরহাটে ট্রেনে কাটা পড়ে দুই সন্তানসহ মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় নিহত সুমি বেগমের স্বামী রাশেদুজ্জামানকে (৩৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার ভোরে পাটগ্রাম উপজেলার রহমানপুর গ্রাম থেকে রাশেদুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

লালমনিরহাট রেলওয়ে থনার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস আলী জানান, সুমি বেগমের বাবা আজিজুল হক বাদী হয়ে সুমির স্বামী রাশেদুজ্জামান ও শাশুড়ি রাশেদা বেগমের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। সুমির শাশুড়ি রাশেদা পলাতক আছেন।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকালে লালমনিরহাট-বুড়িমারী রেলরুটে পাটগ্রাম উপজেলার বেলতলি ঘুন্টি এলাকায় সুমি তার দুই সন্তান তাসমিরা তাবাসুম তাসিন (৬) এবং তৌহিদ হাসানকে (৩) সাথে নিয়ে ট্রেনে কাটা পড়েন। ঘটনাস্থলেই সুমি ও শিশুকন্যা তাসিন মারা যান। তিন বছরের তৌহিদকে ‍গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে মারা যায় তৌহিদ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকালে ছেলে-মেয়েকে সাথে নিয়ে অটোরিকশায় চড়ে বাড়ি থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে বুড়িমারী রেল স্টেশনের কাছে বেলতলি ঘুন্টি এলাকায় যান সুমি। কুয়াশার কারণে রেল লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় তাদের ঠিকমতো দেখতে পারেননি স্থানীয়রা। গেল কয়েকমাস ধরে সুমির সাথে তার স্বামী রাশেদুজ্জামানের পারিবারিক কলহ চলছিল। বৃহস্পতিবার রাতে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল সুমির। তার শাশুড়ি এ ঘটনায় কোনো সুরাহা করেননি। উল্টো সুমি বেগমকে পিটিয়েছিলেন তার শাশুড়ি।

সুমির বাবা আজিজুল হক অভিযোগ করেন, সুমিকে তার স্বামী এবং তার শাশুড়িসহ পরিবারের লোকজন মারধর করতেন। সুমি প্রায়ই ফোন করে তাকে জানাতেন। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছেন। তার মেয়ে সুমিসহ তার দুই সন্তান নিহতের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Child rape cases rise nearly 75% in 7 months

Shows ASK data; experts call for stronger laws, protection

1h ago