গুলশানে গুলি চালান স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মিন্টু: পুলিশ

রাজধানীর গুলশান এলাকায় আজ রোববার বিকেলে গুলি চালিয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি আবদুল ওয়াহিদ মিন্টু। তিনি পেশায় ঠিকাদার।
আবদুল ওয়াহিদ মিন্টু। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর গুলশান এলাকায় আজ রোববার বিকেলে গুলি চালিয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি আবদুল ওয়াহিদ মিন্টু। তিনি পেশায় ঠিকাদার।

গোলাগুলির ঘটনায় পুলিশ ইতোমধ্যে মিন্টুসহ ৩ জনকে আটক করেছে। অপর দুজন হলেন আরিফ হোসেন ও মনির আহমেদ।

গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (গুলশান বিভাগ) এস এম জাহাঙ্গীর হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, ১৬ রাউন্ড গুলি ও ৪টি ম্যাগাজিন জব্দ করেছে বলে জানান তিনি।

এ ঘটনায় ২ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তারা হলেন-আব্দুর রহিম ও আমিনুল ইসলাম। তাদের দুজনের পায়ে গুলি লাগে।

গুলশান বিভাগের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার আব্দুল আহাদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আটক আরিফ হোসেন বিকেল ৪টার দিকে গুলশান শপিং প্লাজার কাছে আলফা জেনারেল স্টোরে যান এবং দোকানদারকে এমএফএস অ্যাকাউন্টে ৭৫ হাজার টাকা ট্রান্সফার করতে বলেন।'

মোবাইল ফোনে টাকা পাঠানোর পর দোকানদার হাবিবুর রহমান টাকা চাইলে নেই বলে জানান আরিফ।

পরে হাবিবুর আশপাশের দোকানদারদের ডেকে আরিফকে আটকে রাখেন। আরিফ বিষয়টি ফোনে জানালে মিন্টু, কবির ও মনির ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে ছাড়ানোর চেষ্টা করেন। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়।

ঘটনাস্থল থেকে আরিফ ও তার সহযোগীরা পালানোর চেষ্টা করলে দোকানদাররা তাদের ধরার চেষ্টা করে।

এ সময় মিন্টু এলোপাতাড়িভাবে গুলি ছুড়লে রহিম ও আমিনুল গুলিবিদ্ধ হন।

পুলিশ জানায়, ওয়াহিদুল ইসলাম মিন্টুর আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স আছে। তবে সেটি দিয়ে আজ গুলি করা হয়েছে কি না, তা এখনো নিশ্চিত না।

এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Comments