ম্রো পাড়ায় হামলা-অগ্নিসংযোগ: ১০ দিনেও ধরা পড়েনি অভিযুক্তরা

ম্রো পাড়ায় আগুনে ভস্মীভূত বাড়ি। ছবি: সংগৃহীত

বান্দরবানের লামা উপজেলার ম্রো পাড়ায় বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা দায়েরের ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

গত ৭ জানুয়ারি উপজেলার সরই ইউনিয়নের রেংয়েন পাড়ার কারবারী রেংয়েন ম্রো বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় লামা রাবার ইন্ড্রাস্ট্রিজ কোম্পানি লিমিটেডের ১০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫০ থেকে ১৭০ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে আজ বুধবার লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ক্যাজুপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআইকে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা গোয়েন্দা তৎপরতাও চালিয়ে যাচ্ছি। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের ব্যাপারে আমাদের দিক থেকে চেষ্টার কোনো কমতি নেই।'   

এ ব্যাপারে বান্দরবানের পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলামের ভাষ্য, 'আমরা ঘটনার কথা শোনার পরদিন থেকেই গ্রামবাসীদের দ্রুত মামলা করার পরামর্শ দিয়ে আসছিলাম। কিন্তু তারা ৭ দিন পর মামলা করেছে। মামলার পরদিন থেকেই আমরা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।'

এ ঘটনায় করা মামলার আসামিরা হলেন- রাবার কোম্পানির প্রকল্প পরিচালক কামাল উদ্দিন, চেয়ারম্যান সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহিরুল ইসলাম, ব্যবস্থাপক আরিফ হোসেন, কর্মচারী নুরু, দেলোয়ার হোসেন, দুর্যোধন ত্রিপুরা, হাজিরাম ত্রিপুরা, আব্দুল মালেক ও মহসিন রেজা।

নতুন বছরের প্রথম দিন গত ১ জানুয়ারি রাতে রেংয়েন ম্রো পাড়ার ৩ ঘরে আগুন দিয়ে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত করা হয়। ওই সময় ৩টি ঘর সম্পূর্ণভাবে ভেঙে দেয় হামলাকারীরা। আরও ২টি ঘরে হামলা ও ভাঙচুর করে নগদ অর্থ, ঘরের জিনিসপত্র ও গবাদিপশু লুট করে।

গতকাল মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ম্রো পাড়ায় যারা অগ্নিসংযোগ করেছে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে না।

এর আগে ৫ জানুয়ারি সেখানে পরিদর্শনে যান কমিশনের ৪ সদস্যের একটি তদন্ত দল।

 

Comments

The Daily Star  | English
rooppur-nuclear-power-plant

Gridline woes delay Rooppur Power Plant launch

The issue was highlighted during an International Atomic Energy Agency (IAEA) inspection in March

1h ago