চট্টগ্রামে জন্ম নিবন্ধন সনদ জালিয়াতি চক্রের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তারকৃত ৪ জন। ছবি: সংগৃহীত

জন্ম নিবন্ধন সনদ জালিয়াতি চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগ।

এ সময় তাদের কাছে জালিয়াতির কাজে ব্যবহৃত ৪টি সিপিইউ, ৩টি মনিটর, ১টি স্ক্যানার ও প্রিন্টার, ১টি প্রিন্টার এবং ৪টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।

কাউন্টার টেরোরিজম ডিভিশনের উপ-পুলিশ কমিশনার মঞ্জুর মোর্শেদ আজ মঙ্গলবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, জালিয়াতি চক্রের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, এ পর্যন্ত তারা জালিয়াতির মাধ্যমে আনুমানিক ৫ হাজারের বেশি জন্ম নিবন্ধন সনদ সৃজন করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— মো. জহির আলম (১৬), মোস্তাকিম (২২), দেলোয়ার হোসাইন সাইমন (২৩), মো. আব্দুর রহমান আরিফ (৩৫)। গতকাল সোমবার তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, জালিয়াতি চক্রের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে জানান, দীর্ঘদিন যাবত তারাসহ আরও একাধিক গ্রুপ এই জালিয়াতি কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। এ পর্যন্ত তারা আনুমানিক ৫ হাজারেরও অধিক ভুয়া জন্ম নিবন্ধন সনদ সৃজন ও বিতরণ করেছেন। তাদের মতো এমন আরও একাধিক চক্র দেশব্যাপী এ ধরনের কার্যক্রমে জড়িত আছেন। একেকটি চক্রে সদস্য সংখ্যা ৩০-১০০ জন। প্রতিটি ভুয়া জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করতে তারা ৫০০-৮০০ টাকা নেন। পরবর্তীতে উক্ত ব্যক্তিদের কাছে তথ্য সংগ্রহ করে তারা সরকার নির্ধারিত ওয়েবসাইটে ওই ব্যক্তির ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে প্রাথমিক নিবন্ধন করেন এবং এসব তথ্য একজন হ্যাকারকে দেন। হ্যাকার অবৈধভাবে জন্ম নিবন্ধন সার্ভারে প্রবেশ করে একটি জাল জন্ম সনদ প্রস্তুত করে পুনরায় চক্রের সদস্যদের দেন।

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছে জব্দকৃত ডিভাইস প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করে এসব তথ্যের সত্যতা ও এ সংক্রান্তে অসংখ্য আলামত পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে মহানগরের খুলশী থানাধীন ১৩ নম্বর ওয়ার্ড (পাহাড়তলী) এর জন্ম নিবন্ধন সহকারী মো. আনোয়ার হোসেন ১টি নিয়মিত মামলা দায়ের করেছেন। চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান ও আইনি কার্যক্রম চলমান আছে, মঞ্জুর মোর্শেদ যোগ করেন।

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

5h ago