৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিএমডিএর ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

চেক জালিয়াতি ও ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

চেক জালিয়াতি ও ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অভিযুক্ত কর্মকর্তারা হলেন-সহকারী প্রকৌশলী জি এফ এম হাসনুল ইসলাম (৫৫), সহকারী হিসাবরক্ষক মতিউর রহমান (৫০) এবং কোষাধ্যক্ষ খবির উদ্দিন (৪৫)।

আজ বুধবার দুদকের সহকারী পরিচালক আমির হোসেন বাদী হয়ে কমিশনের রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে পৃথক ৩টি মামলা করেন।

অভিযুক্তদের মধ্যে হাসনুল ইসলাম এখনো চাকরিতে বহাল আছেন এবং বাকি দুজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

একটি মামলায় হাসনুল ইসলাম ও খবির উদ্দিনের বিরুদ্ধে ২০১২ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে চেক জালিয়াতির মাধ্যমে ৩৭ লাখ ৬৭ হাজার ৭১৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।

ওই সময় তারা বিএমডিএর রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী জোন-২ কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন।

অভিযোগে বলা হয়, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা উত্তোলনের সময় তারা অনুমোদিত অংকের চেয়ে অতিরিক্ত অংক চেকে উল্লেখ করে অর্থ আত্মসাৎ করে।

খবির উদ্দিনের বিরুদ্ধে এককভাবে ২০১১ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে ১১ লাখ ৩৯ হাজার ১১৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে একটি মামলা করা হয়েছে।

পানি ব্যবহার রিচার্জের জন্য গভীর নলকূপ অপারেটরদের কাছ থেকে আদায়কৃত ভ্যাট ও ট্যাক্সের রেজিস্ট্রার বই গায়েব করে তিনি এ টাকা আত্মসাৎ করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

আরেকটি মামলায় মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ১ লাখ ২১ হাজার ৩২২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। খবিরের মতোই রেজিস্ট্রার বই গায়েব করে টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি।

সহকারী প্রকৌশলী জি এফ এম হাসনুল ইসলাম বর্তমানে মোহনপুর উপজেলা কর্মরত আছেন। তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন।

তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'চেক জালিয়াতির জন্য আমি দায়ী নই। আমি জানি না এটা কীভাবে হয়েছে।'

Comments