শিশু ধর্ষণ মামলায় জামিনে বের হয়ে আবারও ধর্ষণ চেষ্টা
শিশু ধর্ষণ মামলায় জামিনে বের হয়ে আবারও ওই শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে লালমনিরহাট সদরের ৭০ বছর বয়সী মমতাজ আলীর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় শিশুটির মা গতকাল রোববার রাতে জিডি করেছেন।
লালমনিরহাট সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোজাম্মেল হক বলেন, 'ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'
মমতাজ আলী লালমনিরহাট পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর সাপ্টানা লাইনেরপাড় এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত রেলওয়ে কর্মচারী।
জিডির বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শিশু ধর্ষণের ঘটনায় মমতাজ আলীর বিরুদ্ধে গত বছরের ১৫ আগস্ট লালমনিরহাট সদর থানায় মামলা হয়। এ মামলায় তিনি প্রায় ৪ মাস হাজতে ছিলেন। জামিনে বের হয়ে এসে তিনি ওই শিশুটির পরিবারের ওপর নানাভাবে অত্যাচার শুরু করেন। গত ২৮ জানুয়ারি সকালে শিশুটি বাড়িতে একা ছিল। এই সুযোগ নিয়ে মমতাজ আলী আবারও তাকে ধর্ষণ চেষ্টা করেন। শিশুটির চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে মমতাজ আলী টিনের বেড়া ভেঙে পালিয়ে যান।
শিশুটির বিধবা মা শহরের একটি চায়ের দোকানে কাজ করে সংসার চালান।
তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রেললাইনের জায়গায় ঘর তুলে থাকি। আমাদের দরিদ্রতার সুযোগ নিয়ে মমতাজ আলী আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। এখন জামিনে বের হয়ে এসে আমাদেরকে ভিটে ছাড়া করার এবং প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। গত শনিবার আবারও তিনি আমার মেয়েকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেন।'
স্থানীয় বাসিন্দা জাহানুর খান (৪৬) ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শিশুটির চিৎকারে আমরা বাড়িতে না ঢুকলে মমতাজ আলী আবারো ওই শিশুকে ধর্ষণ করতেন। ঘরের বেড়া ভেঙে পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আমরা তখন আটকাতে পারিনি।'
মমতাজ আলীর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'ধর্ষণ মামলাটি নিজেদের মধ্যে মীমাংসা করে নেওয়ার জন্য গিয়েছিলাম। আমি তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করিনি।'
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জাহিদ হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। এ ঘটনায় এলাকার মানুষও বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। মমতাজ আলী পলাতক, তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।'
Comments