জুট মিলের গুদামে মিলল ২০ হাজার মেট্রিকটন চাল

বাগেরহাটের ফকিরহাটে অতিরিক্ত মুনাফার আশায় জুট মিলের গুদামে মজুত করা আনুমানিক ২০ হাজার মেট্রিকটন চাল জব্দ করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।
বাগেরহাট, ফকিরহাট, র‌্যাব,
পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত গুদামটিকে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

বাগেরহাটের ফকিরহাটে অতিরিক্ত মুনাফার আশায় জুট মিলের গুদামে মজুত করা আনুমানিক ২০ হাজার মেট্রিকটন চাল জব্দ করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার লখপুর এলাকার এএমএম জুট মিলের গুদাম থেকে এই চাল জব্দ করা হয়। অবৈধ মজুদের দায়ে গুদামের দায়িত্বে থাকা এক ব্যক্তিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসঙ্গে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত গুদামটিকে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।

বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার রুবাইয়া বিনতে কাশেম ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক হিসেবে এ আদেশ দেন।

এসময় সেখানে র‌্যাব-৬ খুলনার কোম্পানি কমান্ডার মো. বদরুদ্দৌজা, বাগেরহাট জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো. সুজাত হোসেন খানসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।

এএমএম জুট মিলের গুদামের দায়িত্বে থাকা অলোক চক্রবর্ত্তী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জব্দ চাল সরকারি গুদামে দেওয়ার জন্য আমদানি করা হয়েছিল। চালগুলো নষ্ট হওয়ায় আর গুদামে দেওয়া হয়নি। চালের পরিমাণ ১ হাজার ১৮৯ মেট্রিকটন।'

বাগেরহাট জেলা কৃষি বিপনন কর্মকর্তা মো. সুজাত হোসেন খান বলেন, 'খাদ্য অধিদপ্তরের চাহিদা অনুযায়ী এই চাল আমদানি করা হয়েছিল। কিন্তু, পরবর্তীতে চালের মান খারাপ বলে চালগুলো আর সরকারি খাদ্য গুদামে দেয়নি চাল ব্যবসায়ী। আসলে অল্প কিছু চাল খারাপ হতে পারে। বাকি চাল ভালো। গুদামে অনুমানিক ২০ হাজার মেট্রিকটন চাল আছে। জুট মিলে এত চাল থাকার কথা নয়।'

তিনি আরও বলেন, 'সব চাল ভালো থাকা স্বত্তেও তারা চাল নষ্ট বলছে। অতিরিক্ত মুনাফার জন্য এই চাল মজুত করা হয়েছিল। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গুদামটি সিলগালা থাকবে।'

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, 'জুট মিলটি সিলগালা করা হয়েছে। তবে, কী পরিমাণ চাল সেখানে আছে পরিমাপ না করে বলা যাবে না।'

Comments