ফারদিন হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে নারাজি দেবেন বাদী

ফারদিন নূর পরশ। ছবি: সংগৃহীত

বুয়েটশিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি আমাতুল্লাহ বুশরাকে নির্দোষ দেখিয়ে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদন নাকচ করেছেন বাদী কাজী নূরউদ্দিন রানা।

ফারদিনের বাবা কাজী নূরউদ্দিন রানা আজ মঙ্গলবার দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে তিনি অনাস্থা আবেদন করবেন।

গতকাল ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন ডিবির পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইয়াসিন শিকদার।

চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তিনি বলেন, 'ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন, তাকে কেউ হত্যা করেনি।'

'আমি ভিডিও ফুটেজ, তদন্ত, ময়নাতদন্ত ও ভিসেরা রিপোর্ট, ঘটনার স্থান এবং অন্যান্য স্থান থেকে নেওয়া বিভিন্ন প্রমাণ পরীক্ষা করে দেখেছি যে, ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন। তাই বুশরা ও মামলায় উল্লেখিত অন্যরা হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না', প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

ফারদিনের বাবা কাজী নূরউদ্দিন রানা বলেন, 'আমার ছেলে কখনো আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা মামলাটি সঠিকভাবে তদন্ত করেননি। তাই পরবর্তী নির্ধারিত তারিখে আমি তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে অনাস্থা আবেদন করব।'

গতকাল দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণ বিষয়ে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি সিদ্ধান্ত নেবেন আদালত।

গত ৮ জানুয়ারি এই মামলার প্রধান আসামি আমাতুল্লাহ বুশরাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া হয়। আজ তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। গত বছরের ১৬ নভেম্বর ৫ দিনের রিমান্ড শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে বুশরাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

ফারদিনের বাবা কাজী নূরউদ্দিন রানা বাদী হয়ে এফআইএর করার ২ দিন পর ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী বুশরাকে গত ১০ নভেম্বর বনশ্রী থেকে গ্রেপ্তার করে রামপুরা থানা পুলিশ।

নিখোঁজের প্রায় ৩ দিন পর গত ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ফারদিনের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

.

Comments

The Daily Star  | English
BSF pushes back Bangladeshis in Sylhet border

100 pushed in from India through five border districts since last night

The districts are Cumilla, Feni, Lalmonirhat, Moulvibazar, and Panchagarh

58m ago