সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় ২ সাক্ষীকে বৈরী ঘোষণা

আসামির পক্ষ নেওয়ায় হত্যা মামলার দুই সাক্ষী ট্রাম্পস ক্লাবের ম্যানেজার মেজর (অব.) এনামুল হাফিজ খান ও রওশন আরা তুলিকে বৈরী ঘোষণা করা হয়েছে
অভিনেতা সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার বিচার ৬ মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ
অভিনেতা সোহেল চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

চলচ্চিত্র অভিনেতা সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার ২ সাক্ষীকে বৈরী ঘোষণা করা হয়েছে। তারা হলেন ট্রাম্পস ক্লাবের ম্যানেজার মেজর (অব.) এনামুল হাফিজ খান ও রওশন আরা তুলি।

আজ শনিবার এ মামলায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জাকির হোসেন তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এসময় আসামির পক্ষে কথা বলায় প্রসিকিউশন তাদের ২ জনকে বৈরী ঘোষণা করে এবং বিভিন্ন বিষয়ে জেরা করে।

বিবৃতিতে হাফিজ খান বলেন, সোহেল চৌধুরীকে হত্যার সময় তিনি ট্রাম্পস ক্লাবে উপস্থিত ছিলেন। তবে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কারা জড়িত ছিল সে সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না।

এর আগে মামলা তদন্তকালে হাফিজ খান তদন্ত কর্মকর্তাকে জানিয়েছিলেন যে, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ও ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলামসহ বেশ কয়েকজন এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে রয়েছে।

সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর সাদিয়া আফরিন শিল্পী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হাফিজ খান হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে সবই জানতেন কিন্তু তিনি এখন অভিযুক্তের পক্ষে কথা বলেছেন। তাই তাকে 'বৈরী' ঘোষণা করা হয়েছে।'

এদিকে রওশন আরা তুলি তার জবানবন্দিতে ট্রাইব্যুনালকে বলেছেন, তিনি হত্যার বিষয়ে কিছুই জানেন না। তিনি জানেন না কেন তাকে এই মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে।

এর আগে মামলার বাদীসহ ৩ জন সাক্ষী তাদের জবানবন্দি দিয়েছেন।

১৯৯৮ সালের ৯ ডিসেম্বরে সোহেল চৌধুরীকে বনানীর ১৭ রোডের আবেদিন টাওয়ারে অবস্থিত তৎকালীন ট্রাম্পস ক্লাবের বাইরে গুলি করে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় সোহেলের ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে গুলশান থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

সোহেল হত্যার পর গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করে ১৯৯৯ সালের ২ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।

২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। ২ বছর পর মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এ স্থানান্তর করা হয়।

২০০৩ সালে এক আসামির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এ মামলার বিচার কার্যক্রম স্থগিত করে।

Comments