জাজিরায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টেন্ডার বাক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগ

‘পরবর্তী বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আবার টেন্ডার আহ্বান করা হবে।’
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ছবি: সংগৃহীত

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টেন্ডার বাক্সের টেন্ডার ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সম্প্রসারিত ভবনের দ্বিতীয় তলার 'টেন্ডার ওপেনিং স্পট' থেকে এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। টেন্ডার বাক্স ছিনতাইয়ের ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর দুর্বৃত্তরা সেটি আবার আগের স্থানে রেখে দেন। এই ঘটনার পর টেন্ডার প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়েছে।

জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুল হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গত ১৮ জানুয়ারি জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য ওষুধ ও অন্যান্য আসবাবপত্র সরবরাহের জন্য প্রায় ৫০ লাখ টাকার একটি দরপত্র আহ্বান করা হয়। যে কেউ যেন টেন্ডার বাক্সে টেন্ডার রাখতে পারে, সেজন্য গত ৭ দিন টেন্ডার বাক্স রাখা ছিল। আজকে দুপুর সাড়ে ১২টায় টেন্ডার বাক্স খোলার কথা ছিল। হঠাৎ সকালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হেড ক্লার্ক ফোন দিয়ে জানান কয়েকজন অজ্ঞাতনামা এসে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টেন্ডার বাক্স ছিনিয়ে নিয়ে গেছে।

'টেন্ডার বাক্স ছিনতাইয়ের ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর দুর্বৃত্তরা সেটি আবার আগের স্থানে রেখে দেন। পরে আমি টেন্ডার কমিটির সদস্যদের নিয়ে বাক্সটি চেক করে দেখি টেন্ডার বাক্সটির আংটা ভাঙা এবং ভেতরে থাকা টেন্ডারগুলো বাক্সের ভেতর নেই। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি জাজিরা থানায় জানালে থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন', বলেন তিনি।

টেন্ডার বাক্স কারা ছিনতাই করেছেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদেরকে আমরা চিনতে পারিনি। তা ছাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিসিটিভি ক্যামেরা সবগুলো নষ্ট ছিল। তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মচারীদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, ছিনতাইকারীদের দলে আনুমানিক ১০ থেকে ১২ জন ছিল। তাই ১০ থেকে ১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে জাজিরা থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। আপাতত টেন্ডার ওপেনিং কমিটির সুপারিশে টেন্ডার স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আবার টেন্ডার আহ্বান করা হবে।'

এ বিষয়ে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এই ঘটনা কারা ঘটিয়েছেন, সেটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভালো বলতে পারবেন। কারণ তারাই বিষয়টি দেখেছেন। এখন পর্যন্ত জানতে পারিনি কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। সেই সময় টেন্ডার বাক্সটিকে যথাযথ অবস্থায় পেয়েছি। এই বিষয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের পর জানা যাবে, কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।'

Comments