স্কুলশিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

বগুড়ার ধুনট উপজেলার নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন ওই শিক্ষার্থীর বাবা।

আজ বৃহস্পতিবার বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল কোর্টে (ধুনট আমলী আদালত) এ মামলা করা হয়।

মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা আইনজীবী রাজ্জাকুল কবির দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অভিযুক্তরা হলেন-ধুনট পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার খান বিজয় (২৮), ধুনট সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহানুর রহমান সোহাগ (২৫), ধুনট উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মো. ইবু (২৫) এবং তাদের সহযোগী মো. সজীব(২৭), মো. নাজমুল (২৫), মো. রিমন (২৪), মো. সোহাগ (২৬) ও মো. রতন (২৭)।

রাজ্জাকুল কবির বিদ্যুৎ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গতকাল বুধবার সকালে ওই শিক্ষার্থী স্কুলে গেলে আসামি বিজয় ফোন করে তাকে দেখা করতে বলে। দেখা না করায় বিজয়ের নির্দেশে ১০-১৫ জন তাকে স্কুলের সামনে থেকে তুলে নিয়ে আসে। পরে তাকে মালোপাড়া নিয়ে হাত বেঁধে নির্যাতন চালায়।'

তিনি বলেন, 'সে সময় আমার ছেলে মাদক সেবন করেছে এই মর্মে তারা একটি স্বীকারোক্তিমূলক ভিডিও ধারণ করে তাকে থানায় সোপর্দ করে।'

'অপ্রাপ্তবয়স্ক হলেও আমার ছেলেকে ধুনট থানায় ৪ ঘণ্টা হাজতে রাখা হয়। পরে আমার স্ত্রী গেলে ছেলেকে ছেড়ে দেওয়া হয়,' বলেন তিনি।

শিক্ষার্থীর বাবা অভিযোগ করেন, বিকেলে তিনি থানায় মামলা করতে গেলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম মামলা গ্রহণ না করে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

কেন আপনার ছেলেকে ছাত্রলীগ নেতারা নির্যাতন করে থানায় নিয়ে গেল জানতে চাইলে, ওই শিক্ষার্থীর মা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ছাত্রলীগ নেতা বিজয়, সোহাগ এবং তাদের সহযোগীরা আমার বাসার (ধুনট স্টাফ কোর্টার) পেছনে মাদক সেবন করে। আমি তাদের বাধা দেওয়ায় তারা আমার ছেলেকে মাদকসেবী সাজিয়ে মারধর করে থানায় হস্তান্তর করে।'  

যোগাযোগ করা হলে ছাত্রলীগ নেতা শাহরিয়ার খান বিজয় দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ওই ছেলের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। সে মাদক সেবন করে। আমাদের হুমকি দেওয়ায় সোহাগ তাকে ডেকে চড়-থাপ্পড় মেরেছে। পরে থানায় নিয়ে তাকে পুলিশের কাছে দেওয়া হয়েছে।'

জানতে চাইলে ওসি রবিউল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ওই শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ নেতাদের মারধরের হুমকি দিয়েছিল। সেজন্য ছাত্রলীগ নেতারা তাকে থানায় নিয়ে আসে। তবে আমরা তার ব্যাগ তল্লাশি করে কোনো মাদক পাইনি। পরে বিকেলে শিক্ষার্থীর মা এসে ছেলেকে নিয়ে যায়।'

পুলিশ কেন মামলা নেয়নি এবং অপ্রাপ্তবয়স্ককে হাজতে ৪ ঘণ্টা রাখা হয়েছে কেন, জানতে চাইলে ওসি রবিউল বলেন, 'মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মামলা দিতে এসেছিলেন ওই শিক্ষার্থীর বাবা। তাই মামলা না নিয়ে তাকে আদালতে যেতে বলেছি।'

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

5h ago