প্রধান শিক্ষককে পেটানো ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার হয়নি ৩ দিনেও
চাঁদা না পেয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে পেটানোর অভিযোগে মামলার পর তিন দিনেও মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ধূলশুড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. তানজিদ মাহমুদ ইসলামকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
তানজিদকে গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ রোববার বিকেলে মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাব চত্বরে মানববন্ধন করেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সদস্যরা। তারা অবিলম্বে প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
মামলার এজাহার ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, অনুষ্ঠানের নামে ইব্রাহিমপুর ঈশ্বরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেনের কাছে বিভিন্ন সময় চাঁদা দাবি করেছিলেন ছাত্রলীগ নেতা তানজিদ।
প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলার অভিযোগে তানজিদকে তার পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। তাকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে জানতে চাইলে হরিরামপুর থানার ওসি সুমন কুমার আদিত্য দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, অভিযুক্তদের মধ্যে মো. নয়ন নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে মোটরসাইকেলে করে বিদ্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর শুভ্র দত্তকে নিয়ে প্রধান শিক্ষক উপজেলা সদরে অগ্রণী ব্যাংকে যাচ্ছিলেন। পথে মোহনপুর এলাকায় মোটরসাইকেলের গতিরোধ করেন তানজিদসহ তার ৬-৭ জন সহযোগী। তারা প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেনকে লাঠি দিয়ে পেটান। প্রধান শিক্ষককে রক্ষা করতে গেলে কম্পিউটার অপারেটর শুভ্র দত্তকেও মারধর করা হয়। হামলাকারীরা প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা, হাতঘড়ি ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে চলে যান। পরে স্থানীয়রা প্রধান শিক্ষক ও কম্পিউটার অপারেটরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
গতকাল শনিবার প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেন ডেইলি স্টারকে জানান, ছাত্রলীগ নেতা তানজিদ তার বিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র। অনুষ্ঠানের নামে বিভিন্ন সময় তানজিদ তার কাছে চাঁদা দাবি করেছিলেন। এ ছাড়া, এক ঝালমুড়ি বিক্রেতাকে বিদ্যালয়ের সীমানার বাইরে বসতে বলায় ক্ষিপ্ত ছিলেন তিনি।
হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা তানজিদ মাহমুদসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে শুক্রবার মামলা করেন প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেন।
Comments