আ. লীগ নেতার বাড়িতে ডাকাতির অভিযোগ, পুলিশ বলছে চুরি
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে আওয়ামী লীগের এক নেতার বাড়িতে ডাকাতির অভিযোগ উঠেছে। বাড়ি থেকে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ লুট করার কথা জানিয়েছে ওই নেতার পরিবার।
তবে পুলিশ বলছে, আওয়ামী লীগ নেতা কাউসার মোল্লার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। বাড়িতে কেউ না থাকায়, তালা ভেঙে চুরি হয়েছে।
সোমবার দিবাগত রাতে শিবালয় ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাউসার মোল্লার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
কাউসার মোল্লার পরিবার জানায়, রাত ১টার দিকে বাড়িতে এক দল ডাকাত হানা দেয়। তারা বাড়ির বাইরের লোহার গেটের তালা ভেঙে বাড়ির ভেতরে ঢোকে। সে সময় কাউসার মোল্লার ছেলে সুমন আহমেদ ওরফে বাবু ও তার স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন। ডাকাতরা ঘরের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে সুমনকে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে। পরে ঘরের আলমারি ভেঙে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ লুট করে নিয়ে যায়।
সুমন আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সোমবার আমার বাবা কাউসার মোল্লা অসুস্থ হওয়ায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। রাতে মা বাবার সঙ্গে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছিলেন। রাতে ৫ জন ঘরের ভেতরে ঢুকে শাবল ও ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে আলমারি ভেঙে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ অর্থ লুট করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে রাত ২টার দিকে পুলিশ আসে।'
'আলমারিতে আমার ২ বোন ও মায়ের ২৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ছিল। এ ছাড়া ছোট বোনের রাখা ৫ লাখ টাকা এবং মায়ের জমানো ৭ লাখসহ মোট ১২ লাখ টাকা ছিল। হজে যাওয়ার জন্য আমার বাবার বেশকিছু রিয়ালও ছিল ওই আলমারিতে। এসব স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা ও রিয়াল ডাকাতেরা লুট করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আমি থানায় মামলা করবো,' বলেন তিনি।
জানতে চাইলে ডাকাতির ঘটনা অস্বীকার করে শিবালয় থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ফরিদ আহমেদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সেখানে কোনো ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি। ওই বাড়িতে কেউ ছিলেন না। এই সুযোগে চোরেরা তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে কিছু মালামাল নিয়ে গেছে। আমি ঘটনাস্থলে আছি। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।'
Comments